ইজতেমার ১ম পর্বে ৮ জনের মৃত্যু

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:১৭ অপরাহ্ণ

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার দুপুরে আরো এক মুসুল্লীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মো. আব্দুল্লাহ (৩৬), ভোলার লালমোহন থানার গজারিয়া এলাকার মকুবুল আহমেদের ছেলে। এনিয়ে বিশ্বইজতেমার প্রথম পর্বে ৮ মুসল্লির মৃত্যু হলো। বিশ্বইজতেমার ১ম পর্বের তিনদিনে টঙ্গী হাসপাতালে ১৫ সহস্রাধিক মুসুল্লী।

ইজতেমা কমিটির লাশের জিম্মাদার মো. শাকের বলেন, ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের পর রোববার বেলা ১২টার দিকে আব্দুল্লাহ হঠাৎ বুকে ব্যাথা নিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন সকাল সোয়া ৬টার দিকে আনিসুর রহমান (৭১), ঢাকার বংশাল রোডের ১১২, কাজী আলাউদ্দিন রোড এলাকার বাসিন্দা ছমির উদ্দিনের ছেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ইজতেমার পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রকৌলশী আব্দুন নুর বলেন, এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৯ টায় খুলনার ডুমুরিয়া থানার মলমলিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন(৭০), শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামের রাউজান সদরের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৭০) শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায়, নরসিংদীর মনোহরদী থানার মাছিমপুর এলকার রহমতুল্লাহর ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান হবি (৭০)।

শুক্রবার বিকেলে যাত্রাবাড়ীর আক্কাস আলী (৫০), বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের আবু তৈয়ব (৯০) ও সিলেটের নুরুল হক (৬৩) নামে মুসল্লির আরো তিন মৃত্যু হয়েছে।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত ইজতেমার কন্ট্রোল রুমের কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. মোবারক হোসেন মৃধা জানান, ১৩ , ১৪ ও ১৫জানুয়ারি টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ১৫ সহ¯্রাধিক রোগী (ইজতেমার মুসুল্লী) চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫২জন ভর্তি এবং ৩০জনকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ডায়রিয়া, আমাশয়, সর্দি, জ্বর, ঠান্ডা, কাঁশি, পেট ব্যাথা, হৃদরোগ, অ্যাজমাসহ বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়াও ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে স্থাপিত হামদর্দ, ইবনে সিনার মতো বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আরো কয়েক হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে বলেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুল ইসলাম।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...