রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাসচাপায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় বিচারের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে তারা অবস্থান নেন।

এদিকে অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর ও উত্তরাগামী সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।

নর্দান ইউনিভার্সিটির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নাদিয়ার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ ও বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-

১. ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে।

২. নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩. চালক ও হেলপারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে হবে।

৪. কাওলা এলাকায় একটি বাস স্টপেজ করতে হবে।
গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরনিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। তার মোটরসাইকেল চালক বন্ধু অক্ষত ছিলেন। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ঘাতকবাসটির চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় সার্জেন্ট টাওয়ারের পেছন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন- চালক মো. লিটন ও হেলপার মো. আবুল খায়ের। তাদের দুজনের বাড়ি ভোলায়। দুর্ঘটনার পর তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন।

[১] [২] [৩]