সিলেট বিভাগের উপজেলাগুলো স্বাস্থ্যসেবায় অনেক পিছিয়ে —স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১৩ অপরাহ্ণ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সিলেট বিভাগের উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবায় আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। উপজেলা পর্যায়ে যে রকম স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার কথা ছিল সেই রকম সেবা আমরা এখনো দিতে পারছিনা। অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম সহ অনেক মেশিন নাই এবং যেসব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আছে তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মন্ত্রী জানান, বিভাগের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসগুলোতে মাইনর অপারেশন করা গেলেও মেজর অপারেশনগুলো করা সম্ভব হচ্ছে না।ডাক্তারের সংকট রয়েছে বলে মন্ত্রী স্বীকার করেলেও নার্সের সংকট সিলেট বিভাগের নাই বলে তিনি জানান, তবে টেকনিশিয়ানের সংকট ৫০ ভাগ রয়েছে বলে তিনি জানান। এই জায়গা গুলো আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা দ্রুত উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং এই সমস্যার সমাধান হলে সিলেট বিভাগের উপজেলা গুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান অনেক উন্নতি হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।এছাড়া যে উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেই সেসব উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে।

২ ফেব্রুয়ারি(বৃহস্পতিবার) দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজের হলরুমে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ৬টি প্রকল্পের কাজ উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালের ডায়ালোসিস ইউনিট ও কার্ডিওলজি ইউনিটসহ বিভিন্ন ইউনিট চালু হয়েছে যার ফলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরো উন্নত হবে। এছাড়া ক্যান্সার ও হার্টের রোগীদের জন্য ১৫ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর কাজ চলমান আছে যা এ বছরের শেষের দিকে সমাপ্ত হবে এবং আগামী বছরের শুরুতেই সেবার কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। এ সময় মন্ত্রী সিলেটে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অনেক শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেন এবং যার প্রভাব সরকারি হাসপাতালগুলোতে পড়ছে বলে তিনি মনে করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মহামারির সময় অন্যান্য হাসপাতালে জায়গা না হওয়ায় শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালকে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেখানে করোনা রোগীর সেবা দেয়া হয়েছে। এখন করোনা নেই বললেই চলে। তাই শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালকে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল করার ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করি খুব অল্প সময়ে এটি চালু করা যাবে।

মন্ত্রী এসময় সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ৬টি প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হল সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ কাজ, সিলেট জেলার সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নে দেওয়ানের চক কমিউনিটি ক্লিনিক পূনঃনির্মাণ কাজ, সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নে শ্বাসরাম কমিউনিটি ক্লিনিক পূনঃনির্মাণ কাজ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, সার্কেল-০৬ সিলেট অফিস ভবন নির্মাণ কাজ, উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা সুনামগঞ্জ জেলা অফিস ভবন নির্মাণ কাজ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন জেনারেটর প্লান্ট রুম স্থাপন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...