স্ত্রী কোনো কথা না শুনলে করণীয়

দাম্পত্য জীবন সুশৃঙ্ক্ষল রাখা সহজ কিছু নয়। দু’জন মানুষ মানেই আলাদা চিন্তা-ভাবনা, আলাদা অনেক অভ্যাস। তাই একে অন্যের সব কথা শুনে চলবে বা মুখ বুজে মেনে নেবে এমনটা আশা না করাই ভালো। পথ চলতে গিয়ে নানা জটিলতা আসতে পারে। এমনও হতে পারে যে আপনার স্ত্রী আপনার কোনো কথাই শুনতে চাইছে না। কেবল তার যা ভালোলাগে, তাই করে চলেছে, তাহলে সেই সংসার কিছুটা এলোমেলো হবেই।

দাম্পত্য মানে একে অন্যের সব কথা শুনে চলা নয় যদিও, তবে পরস্পরকে সহ্য করা শিখতে হবে। এমন যদি হয় অপরজনের কোনো কথাই সহ্য হয় না, তখন তা সমাধান করারও উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ঝগড়াঝাটি কিংবা অশান্তি নয়, সুন্দরভাবে সামলে নিন। আপনার কিছু কাজ, কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আসবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

বুঝিয়ে বলুন

মনে রাখবেন, তিনি আপনার কোনো শত্রু নন। স্ত্রীকে বন্ধু ভাবুন। তার দায়িত্ব অন্য কারও ওপরে চাপাবেন না। আপনিই তার সঙ্গী। আপনার কথায় গুরুত্ব না দিলে তার যে আসলে কোনো লাভ নেই, সেকথা তাকে বুঝিয়ে বলুন। এটি হয়তো একদিনে বোঝাতে পারবেন না, কিছুটা সময় নিয়ে বলুন। আপনার কথা শুনলেই বরং তার লাভ বেশি, এটি বুঝতে পারলে আর এমনটা করবে না। কারণ মানুষ নিজের লাভের দিকটাই সবার আগে ভেবে দেখে। তাই ধৈর্য নিয়ে তাকে বোঝান। অযথা চেচামেচি করে সম্পর্ক খারাপ করবেন না।

সব বিষয়ে নাক গলাবেন না

অনেক স্বামী আছেন যারা স্ত্রীর সব বিষয়ে নাক গলাতে শুরু করেন। তার ভালো-মন্দ খেয়াল তো রাখবেনই, তবে তাকে কিছু জায়গা ছেড়েও দিতে হবে। কোনো মানুষই অন্য একজন মানুষের শতভাগ মনের মতো হয় না। আপনিও নিশ্চয়ই পুরোপুরি তার মনের মতো নন? তাই কিছু বিষয় তাকেই সামলে নিতে দিন। তার সব বিষয়ে মতামত দিতে যাবেন না। যেখানে মত দেওয়া দরকার, সেখানেই দিন। এতে স্ত্রী তো আপনার কথা শুনবেই, বোঝাপড়াও বাড়বে।

অতিরিক্ত কথা বলবেন না

তার কোনো বিষয়ে মত দিলে অল্প কথায় দিন। কম কথা বললে তার কদর থাকে। বেশি কথা বললেই বিরক্তি বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত কথা বললে তা কেউ-ই পছন্দ করে না। তাই যদি চান সে আপনার কথা শুনে চলুক তবে কম কথা বলুন। নয়তো সে আপনাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করবে। তখন আর তার কাছে আপনার কথার গুরুত্ব থাকবে না।

ভালোবাসুন

ভালোবাসার চেয়ে সুন্দর কিছু নেই। সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। একসঙ্গে সময় কাটান। জীবনকে উপভোগ করুন। যেখানে সম্ভব, স্ত্রীকে পাশে রাখুন। ভালোবাসা পেলে সে আপনার কথা ফেলতে পারবে না। যদি আপনি তার বিষয়ে উদাসীন থাকেন তবে সেও আপনাকে গুরুত্ব দেবে না। ভালোবাসলে তার কাছে আপনার কথার গুরুত্ব বেড়ে যাবে।

আটকে রাখবেন না

তাকে স্বাধীন থাকতে দিন। জানেন তো, মানুষের স্বভাব আসলে পাখির মতোই। সে স্বাধীন থাকতে চায়। তার স্বাধীনতা নষ্ট করবেন না। তাকে আটকে রাখবেন না। যেহেতু সেও একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তাই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আটকে রাখতে চাইলেই বরং সে বিরক্ত হয়ে যাবে। তখন আপনার কোনো কথাই আর শুনতে চাইবে না।

[১] [২] [৩]