সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার নাটকের অভিনেত্রী সোনিয়া আক্তার (২১) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সজিবকে (২৯) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
সোমবার রাত পৌনে ৯টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সজিব হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরিফনগর গ্রামের মো. নূরুদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় র্যাব-৯ সদর দপ্তরে বাহিনীর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাতদিন আগে থেকে কলেজছাত্রী ও টিকটক অভিনেত্রী সোনিয়াদের বাসায় বসবাস করে আসছিলেন সজিব। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি সিলেট থেকে ঢাকায় পালিয়ে যান। গ্রেফতার সজিব নিহতের মামাতো ভাই। এছাড়া সজিবের সঙ্গে সোনিয়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের নাটকে অভিনয় করেন। ঘটনার আগের দিনও সোনিয়া ও সজিব বিয়ানীবাজারে চাকরির সন্ধানে যান। পরে তারা রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরের খুলয়াপাড়ার বাসায় ফেরেন। পরদিন সকালে সোনিয়াকে গলা কেটে লেপ দিয়ে ঢেকে সজিব পালিয়ে যান।
সজিবকে গ্রেফতারের খবরে মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে যান নিহতের মা অমিতা বেগম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সজিবই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই। তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় সজিব ছাড়া বাসায় আর কেউ ছিল না। সজিব আমার মেয়েকে হত্যা করে তার রক্তাক্ত কাপড় বাথরুমে ফেলে চলে যায়।
গত রোববার দুপুরে সিলেট নগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে সোনিয়া আক্তারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোনিয়া সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাছড়া গ্রামের বেলাল আহমদের মেয়ে। তিনি দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের স্নাতক প্রথমবর্ষের ছাত্রী। ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা।
সোনিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, সোনিয়ার সৎবাবা সেলিম মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় মামাতো ভাই সজিব এক সপ্তাহ সময় ধরে সোনিয়াদের বাসায় ছিলেন। রোববার সকাল ৭টার দিকে সজিবসহ সোনিয়ার পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে নাশতা করেন। পরে ঘরে সোনিয়া, তার ভাবি ফারিয়া বেগম ও সজিবকে রেখে পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে চলে যান। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালে থাকা সোনিয়ার মা অমিতা বেগমকে ফোন করে সজিব বাড়ি যাচ্ছেন বলে বিদায় নেন।
দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে সোনিয়ার কক্ষে গিয়ে বিছানার ওপরে গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তার মা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহতের বড় ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে সজিবকে একমাত্র আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।