ভেনিস বাংলা স্কুলের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২৩, ১:৩০ পূর্বাহ্ণ

 

ইতালির ভেনিসে “ভেনিস বাংলা স্কুলের” একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষাকে রক্ষার জন্য রাজপথে আন্দোলন হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। সালাম-বরকত-রফিক-শফিক-জব্বার আরও কত নাম না-জানা সেসব শহীদের আত্মত্যাগে আমরা ফিরে পাই আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা।
প্রবাসী শিশু কিশোর, অভিভাবক এবং কম্যুনিটির বিশিষ্ট মানুষদের উপস্থিতিতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সকলে দাড়িয়ে সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।


ভেনিসের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মেস্ত্রের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এম নাইন মিউজিয়াম হলে অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ছ’টায়। একুশের গান, দেশের গান, কবিতা, নৃত্য শেষে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারী, শনিবার বাংলা স্কুলের জমকালো এই একুশ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন, বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার। প্রধান অতিথি ছিলেন ভেনিসের সাবেক সাংসদ নিকোলা পেল্লিকানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল কমিটির উপদেষ্টা পলাশ রহমান ও নাজমুল আলম খন্দকার রিপন। বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস মানে পৃথিবীর সব ভাষার প্রতি সম্মান জানানো উপপাদ্যে বক্তৃতা করেন, স্কুলের সিনিয়র সহসভাপতি এমডি আকতার উদ্দিন, সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহাম্মাদ উল্লাহ সোহেল মিয়া, শাহাদৎ হোসেন, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আফাই আলি, শহিদুল ইসলাম সুজন, ফকরুল চৌধুরী,সুমন সরকার, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল প্রমূখ।



গত ১৮ বছর যাবৎ পরিচালিত ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে কম্যুনিটির বিষিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেন। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন শেকড়ের সাথে জুড়ে থাকতে। বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাজি আল রোনাক, সহিদুল ইসলাম, রাসেদুল ইসলাম এবং রতন মিয়া।
ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠান একটু ব্যতিক্রম ভাবে সাজানো হয়। প্রতি অনুষ্ঠানেই কিছু না কিছু নতুনত্ব দেয়া হয়। আর এই নতুনত্ব  তুলে ধরেন তারা হলেন- উপস্থাপিকা ও স্কুলের সাধারণ সম্পাদক সোহেলা আক্তার বিপ্লবী এবং স্কুলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কন্ঠশিল্পী মোহাম্মাদ আসিক।

বাংলা স্কুলের শিশু কিশোরদের শ্রেণী মতো বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের পাঠদান, দেশের ইতিহাত, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির শিক্ষা দেন তিনজন শিক্ষীকা- সুরাইয়া আক্তার, দিলরুবা জামান ও মেহেরুন নেছা মলি। তাদের অক্লান্ত সাধনার ফলে প্রবাসী শিশু কিশোররা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারে, দেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পরিচিত হয়। তিনজন শিক্ষিকাকে বিশেষ সন্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

তিন গ্রুপে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের  পুরস্কৃত করা হয়  এ ছাড়াও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে শান্তনা পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার স্পন্সর করেছেন ভেনিসের ব্যবসায়ী ও  কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন।

স্কুলের শিক্ষার্থীদের একুশের কবিতা, গান এবং নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...