ভেনিস বিএনপির স্বাধিনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল

ইতালি প্রতিনিধি।,

  • প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১০:১২ অপরাহ্ণ

ভেনিস বিএনপির স্বাধিনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার মাহফিল

বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস ২৬ মার্চ। দিনটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১১৯টি দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। প্রবাসীরা দিনটি প্রতি বছর গুরুত্বের সাথে পালন করেন। বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও মর্যাদার সাথে পালিত হয়।

পৃথিবীর যেখানে একজন প্রবাসী আছেন, সেখানেই পতপত করে ওড়ে লাল সবুজের পতাকা। এতে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারে। শেকড়ের সাথে তাদের বন্ধন মজবুত হয়।

এ বছর রোজার মধ্যে স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় আলাদা রকম মাত্রা পেয়েছে। প্রবাসীরা সারাদিন রোজা রেখে সংগঠিত ভাবে ইফতারের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছেন। ভেনিসের প্রতিটি কম্যুনিটি মসজিদে বিশেষ ইফতারির আয়োজন করা হয়। এতে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিরা শিশু কিশোরসহ যোগ দেন।

ভেনিসের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল, বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী যুব দল যৌথ ভাবে ২৬ মার্চ, রোববার বিকেলে মেসত্রের একটি রেষ্টুরেন্টে আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সংগঠন দুটির কয়েকশ প্রবাসী নেতাকর্মী যোগ দেন।

ভেনিস বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধন অতিথি ছিলেন, ভেনিস বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা শামিম দেওয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনের সিনিয়র নেতা আজহার শরিফ।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস এমন একটা সময়ে আমরা উদযাপন করছি যখন প্রিয় বাংলাদেশের মানুষ এক দূর্বিসহ সময় পার করছে। উন্নয়নের নামে লুটেরা সরকার দেশে চরম আর্থিক এবং রাজনৈতিক সংকট ডেকে এনেছে। দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে আজ দিশে হারা। তারা চিড়া মুড়ি খেয়ে রোজা রাখছেন।

সভাপতি আবদুল আজিজ সেলিম বলেন, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া ফ্যাসিবাদি সরকার ইতিহাস বদলে দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। নতুন প্রজন্মকে পাঠ্যবইতে বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে।

আবদুল আজিজ প্রশ্ন তুলে বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবর রহমান স্বেচ্ছায় পাকবাহিনীর কাছে ধরা দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের কোনো অসুবিধা হবে না। তারা নিরাপদে, আরাম আয়েশে থাকবেন। বাস্তবে হয়েছেও তাই। শেখ হাসিনাসহ মুজিব পরিবার যুদ্ধের ৯ মাস পাকসরকারের সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে আরাম আয়েশে ছিলেন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান জীবন বাজি রেখে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। আর আজ তাকে বলা হচ্ছে পাকিস্তানের চর। ইতিহাসের সাথে এর চেয়ে চরম গাদ্দারি আর কী হতে পারে?

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শমসের আকবির পলাশের উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ভেনিস বিএনপি এবং যুব দলের নেতৃবৃন্দ।

ইফতার মাহফিলের দোয়া পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ইফতারের আগ মুহুর্তে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। আমরা দোয়া করি, সকল মুক্তিযোদ্ধাকে আল্লাহ বেহেস্তের উচু মাকাম দান করবেন এবং জীবীতদের সম্মান আরো বাড়িয়ে দেবেন।

তিনি দেশের রাজনৈতিক এবং আর্থিক সংকট নিরসনে আল্লাহর মদদ প্রার্থনা করেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...