আইরিশদের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভঙ্গ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১১:২৯ অপরাহ্ণ

স্পোর্টস ডেস্ক ::

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে আগেই সিরিজের দখল নেয় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি ছিল আইরিশদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবানোর। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ডোবাতে গিয়ে নিজেরাই হেরে যায় টাইগাররা।

চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ৭ উইকেট আর ৬ ওভার হাতে রেখে পাওয়া সহজ জয়ে ১-২ ব্যবধানে হেরে সিরিজ শেষ করেছে তারা।

আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২৫ রানের। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় আইরিশরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ওপেনার রস এডায়ারকে (৯ বলে ৭) বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর লরকান টাকারকে (৪) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম।

অধিনায়ক পল স্টারলিং আর সুযোগ দেননি টাইগার বোলারদের। ঝোড়ো গতিতে ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন। অভিষিক্ত রিশাদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনি যখন ফিরেছেন, আইরিশদের ৪৭ বলে দরকার মাত্র ১৬ রান।

৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংসটি স্টারলিং সাজিয়েছিলেন ১০ চার আর ৪ ছক্কায়। হ্যারি টেক্টর ১৪ আর কুর্তিস ক্যাম্ফার ১৬ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে, আইরিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। সাকিব-লিটন-রনিদের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন শামীম। আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করা দুই ওপেনারের কেউই এদিন সুবিধা করতে পারেননি। লিটনের পথেই হেটেছেন রনিও। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ১৪ রান। তার বিদায়ে ২৪ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। শান্তর বিদায়ের পর ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সাকিবও।

সাকিবের পর বাংলাদেশের সর্বশেষ স্বীকৃত ব্যাটিং জুটি ছিল তাওহিদ হৃদয় এবং শামীম হোসেনের। কিন্তু ছন্দে থাকা হৃদয় এদিন দলের হাল ধরতে পারেননি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ১২ রান। হৃদয়ের বিদায়ে দলীয় অর্ধশতক স্পর্শ করার আগেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

চাপের মুখে উইকেটে আসেন অভিষিক্ত রিশাদ। দুর্দান্ত শুরুর পরও নিজের অভিষেক ইনিংসটা খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি। দশম ওভারের প্রথম বলে হ্যাম্পেয়ার্সের ইয়র্কারে বোল্ড হওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করেছেন ৮ রান। রিশাদের এক বল পরই সাজঘরে ফিরেন তাসকিন।

প্রথম দশ ওভারের মধ্যেই ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে স্বাগতিকরা। তবে সেই শঙ্কার মেঘ কেটেছে শামিমের ব্যাটে। ১৯তম ওভারে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৪০ বলে। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৫১ রান করে শামীম ফিরলে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...