শুধু গাউছিয়া নয়, রাজধানীর অধিকাংশ মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ


ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তর জোন-১ এর উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রশিদ বলেছেন, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না থাকাসহ বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে গাউছিয়া মার্কেটে। মার্কেটটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনা হলে ভবন থেকে বের হওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই। শুধু গাউছিয়া নয়, রাজধানীর বেশিরভাগ মার্কেটই এমন ঝুঁকিপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঠিক এই মুহূর্তে রাজধানীর কতটি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ, এমন প্রশ্নে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের অনেক মার্কেট ও কাঁচাবাজার ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ঠাঁটারিবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, চকবাজারসহ বিভিন্ন জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সব মার্কেটেই কিছু না কিছু ঝুঁকি রয়েছে। কারণ কেউ ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই আমাদের দৃষ্টিতে বেশিরভাগ মার্কেটই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা অনুরোধ করবো মার্কেটগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা যেন শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়।

 

গাউছিয়া মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয়ে তিনি বলেন, গাউছিয়া মার্কেটে শুধু ফায়ার সার্ভিস নয়, এনএসআই-ডিজিএফআই প্রতিনিধিসহ আমরা পরিদর্শন করেছি। একটি সার্ভে করে ফরম ফিলাপ করেছি। আগুন নির্বাপণের জন্য বা দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য যেসব সাজ সরঞ্জাম প্রয়োজন, এই মার্কেটে সেসব ব্যবস্থাপনা পর্যাপ্ত নয়।

সার্ভে কার্যক্রমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর মো. আল মাসুদ, গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

গত বুধবার (৫ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন রাজধানী সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেটসহ রাজধানীতে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। এসব মার্কেটে সার্ভে চালানোর কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি গুলিস্তান ও সায়েন্সল্যাবে ভবন বিস্ফোরণ, বেশকিছু ভবন ও প্রতিষ্ঠানে আগুনে প্রাণ গেছে বহু মানুষের।

গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের মার্কেটগুলোতে। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সসহ কাছাকাছি চারটি মার্কেট পুড়ে যায়। আরও অন্তত তিনটি মার্কেট আগুনে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন নেভাতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা টানা কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট।

অগ্নিকাণ্ডে অন্তত পাঁচ হাজার দোকান পুড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতি। যদিও আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

 

[১] [২] [৩]