সব
সিলেট অফিস,
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সৈয়দ জামাল মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরো ৪ জন তারা হলেন সৈয়দ সেলু মিয়া, (আশংকাজনক) সৈয়দ সিপু মিয়া, আনকার মিয়া ও আমিন মিয়া।। আহতদের সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার ২৮ এপ্রিল উপজেলার সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামে রাত প্রায় ৯টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে সংঘর্ষের কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। খবর পেয়ে রাতেই জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ সকালে জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান নিহত জামালের বাড়িতে যান এবং নিহত জামালের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে ঘটনার প্রকৃত দোষীদের খোজে বের করে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন।
নিহত সিএনজি চালক জামাল মিয়া (৪০) সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামের সৈয়দ আনহাই মিয়ার ছেলে।
জানা যায় স্ত্রী সহ জামালের দুই শিশু সন্তান রয়েছে। চার বছরের শিশু কন্যা আফসানা বেগমকে পিতা জামালের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে- (আব্বা বাজারে গেছোইন, আমার লাগি মজা আনবা)
গুলিবিদ্ধ জামালকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। দুপুরে জামালের লাশ বাড়ীতে এসে পৌছলে এলাকায় শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজ করে।
শোকে কাতর নিহত জামালের মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন- হাসানের দুইনালা বন্দুক দিয়ে আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।। আমি এর বিচার চাই। খুনিদের ফাঁসি চাই। নিহত জামালের চাচা সৈয়দ গৌছ মিয়া জানান আমার ভাতিজা হোসাইনকে হাসানের লোকজন একা পেয়ে প্রথমে মারধর করে পরে হোসাইনকে বাঁচাতে নিহত সৈয়দ জামাল ও সৈয়দ সেলু মিয়া, সৈয়দ সিপু মিয়া, আনকার মিয়া ও আমিন মিয়া এগিয়ে গেলে হাসানের লোকজন তাদের উপর আক্রমণ করলে তারা পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়।
জগন্নাথপুর সার্কেল এএসপি শুভাশিস ধর বলেন এপর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি, কেউ গ্রেফতার হয়নি! কোনো অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি! পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি।