৫০০ কোটি টাকার ১২৫৬ বিলাসবহুল গাড়ি এল দেশে

প্রায় ৫০০ কোটি টাকার এক হাজার ২৫৬টি বিলাসবহুল গাড়ি এসেছে দেশে। জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে বিশাল এ গাড়ির বহর নিয়ে এমভি মালয়েশিয়া স্টার নামে একটি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে।

গত দুই দিনে জাহাজ থেকে ৫৬৯টি প্রাইভেট কার, রেসিং কার, পাজেরো জিপ ও মাইক্রোবাস খালাসের পর বাকি ৭০৬টি গাড়ি নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে বুধবার ছেড়ে যায় জাহাজটি। জানা গেছে, এসব গাড়ি আমদানিতে সরকারের রাজস্ব আয় হবে ২০০ কোটি টাকার বেশি।

গত নয় মাস ধরে গাড়ির চালান আসা বন্ধ থাকার পর বাজেট ঘোষণার আগ মুহূর্তে ডলার সংকটে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধের মধ্যেই এসব গাড়ি দেশে এল।

চট্টগ্রাম বন্দরের ৭ এবং ৮ নম্বর জেটিতে বার্থিংয়ের পর ৫৬৯টি গাড়ি খালাস করে রাখা হয়েছে ১ এবং ২ নম্বর শেডে।

গাড়ির বিশাল এ চালান আমদানির সঙ্গে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের প্রায় ১৫ জন ব্যবসায়ী সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে জানা যায়। বিশেষ করে আসন্ন বাজেটে আমদানি করা গাড়িতে শুল্কহার বাড়তে পারে এ তথ্য থেকেই বেশি লাভের আশায় গাড়ি আমদানি হয়েছে।

তবে ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে গাড়ির মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। এখন এসব গাড়ি মার্কেটে প্রবেশ করলে হয়তো বাজারে গাড়ির মূল্য কমে আসতে পারে। আর ডলারের মূল্য যেহেতু বেশি তাই গাড়ির আমদানিমূল্য স্বাভাবিকভাবেই বেশি পড়ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যাল ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) সাবেক কোষাধ্যক্ষ জুনায়েদ মো. হেলাল বলেন, এসব গাড়ি আগের জমানো। বাজেট উপলক্ষ্যে আসেনি। আগে প্রতি মাসে একটি গাড়ির জাহাজ এলেও এখন তিন মাসেও একটি জাহাজ আসে না। তাই একবারে এসব গাড়ি এসেছে।

বারডিভার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, গাড়ির চাকা ঘুরলেই দেশের অর্থনীতি সচল থাকবে। বাজারে এখন অনেক গাড়ির প্রয়োজন। এসব গাড়ি শুল্কায়ন প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপপরিচালক বদরুজ্জামান মুন্সী জানান, নিয়ম অনুযায়ী আমরা এখন গাড়ি শুল্কায়ন করব।

উল্লেখ্য, ডলার সংকটের কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বিলাস বহুল পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি রয়েছে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি আমদানি প্রায় বন্ধ। গাড়ি আনতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া বন্ধ হয় গত বছর। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব গাড়ি অনেক আগের এলসি করা। সেসব এলসির পণ্য এখন আসছে।

এসব গাড়ির মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।

[১] [২] [৩]