মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে যাবে মোখা, ঝুঁকি কমেছে বাংলাদেশের

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র মূল কেন্দ্রটি মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝুঁকি কমে আসছে। রোববার সকাল ১১টার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। রোববার বিকেল ৩টার মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে আঘাত হানতে শুরু করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বিকালের মধ্যে মোখার মূল অংশ আঘাত হানতে পারে। সকাল থেকে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার( ১৩ মে) দুপুর থেকে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে সেন্টমার্টিন। বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

সেন্টমার্টিন থেকে জয়নাল উদ্দিন জানান, রোববার সকাল ১০ টার পর হতে প্রচুর বাতাস বইছে। বৃষ্টি ও বাতাসের জন্য বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। সাগর উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। শনিবার দুপুরের পর থেকে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে দ্বীপের মানুষ। দ্বীপের প্রায় বাসিন্দা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। তাদেরকে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। তবে তা পর্যাপ্ত হচ্ছে না।

সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার আবদুল মালেক জানান, কোস্ট গার্ড ভবনে ৭০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয়ে রয়েছে। পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও। তাদেরকে সকালে খিচুড়ি দেয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সকাল থেকে বাতাস আর বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরের পানি আগের মতো রয়েছে এখনও পর্যন্ত বাড়েনি।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...