নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, ফলাফল মেনে নিয়েছি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩, ৫:২০ অপরাহ্ণ

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান। দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে আজমত উল্লা খান প্রশ্ন তুলেছেন, অন্য কেউ পরাজিত হলে রায় মেনে নিতো কি-না জানি না?

শুক্রবার এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি রায় মেনে নিয়েছি। অন্য কেউ পরাজিত হলে কি মেনে নিতো?”

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কিছু ত্রুটি ছিল। ইভিএমে অনেকেই ভোট দিতে পারেন নাই।”

এদিকে মেয়র ঘোষণার পর জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমার মা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, ব্যক্তির বিরুদ্ধে জিতেছেন। আজমত উল্লা খান আমার বড় ভাই। তিনিসহ যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, মা বলেছেন সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন।”

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৪৮০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণার শেষে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

ফল ঘোষণার পরপরই উল্লাস আর বিজয় মিছিল বের করে গাজীপুরের লোকজন। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের বাইরে ও বিভিন্ন এলাকায় বিজয় মিছিল বের করতে দেখা যায় জায়েদার সমর্থকদের।

জায়েদা খাতুন হলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লাকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে হারিয়েছেন। আর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর জায়েদাই হলেন মহানগরীর তৃতীয় মেয়র।

এদিকে ৪৮০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে জায়েদা খাতুন ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। আর আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। অন্য কোন প্রার্থী এই দুইজনের ভোটের কাছাকাছি ছিলেন না।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...