খুলনা সিটি নির্বাচন : কে কোন প্রতীক পেলেন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩, ৬:৪১ অপরাহ্ণ

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৭৯ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ চলছে। চার মেয়র প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

শুক্রবার কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, সকাল ৯টা থেকে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমেই মেয়র প্রার্থীদের আবেদন অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এরপর সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী ১২ জুনের এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার মেয়র প্রার্থীসহ ১৭৯ জন।

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী হাত পাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের এসএম শফিকুল ইসলাম মধু ও জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী গোলাপ ফুল প্রতীকের এসএম সাব্বির হোসেন। এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নিউমার্কেট এলাকা থেকে তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন।

জানা গেছে, কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। আর ১২৮টি সাধারণ কেন্দ্র। সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ ও আনসার। নির্বাচনের কাজে ৩ হাজার ৫৬৭ পুলিশ, ৩০০ আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে নগরীতে ১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে। এছাড়া বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলাউদ্দীন জানান, এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করবে।

নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...