সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কতিপয় দখলবাজদের হাত থেকে পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিবলী বেগম।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় জগন্নাথপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
জগন্নাথপুর পৌর শহরের সিলেট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন- প্রবাসী শিবলী বেগম। পরে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো ভাই আনিসুজ্জামান রাজিব।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত মনাফর আলী ওরফে সফর আলীর উত্তরাধিকারীরা অধিকাংশই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই দেশ মাতৃকার টানে দেশে আসেন। গত ১৬ এপ্রিল মরহুম সফর আলীর বড় ছেলে মরহুম জবর আলীর মেয়ে মোছা:শিবলী বেগম যুক্তরাজ্য থেকে দেশে বেড়াতে আসেন। দেশে এসেই তিনি তার দাদার বাড়িতে ওঠেন।
শিবলী বেগমের দাদার বাড়িটি মাঝে মধ্যে দেখাশোনা করতেন তার আপন বড় ভাই মৃত আব্দুন নূরের শ্বশুর বাড়ির লোক আবু লেইছ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা এক বাবার ঔরস্যে এক ভাই ও দুই বোন। আমার বাবা ১৯৯২ সালে মারা গেলে মারা গেলে আমার ভাই মৃত আব্দুন নুরের শ্যালক সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা আবু লেইছ গং পৈতৃক সম্পত্তি থেকে আমাদের বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে ভাইকে নানা ভাবে ফুসলাতে থাকে। ১৯৯৫ সালে আমার ভাই আব্দুর নুর কিছু দুষ্ট লোকের চক্রান্তে সব জমি নিজের নামে রেকর্ড নেন। এক পর্যায়ে তারা আমাদের বাপ দাদার নামের রেকর্ড জালিয়াতি করে আমার ভাইয়ের নামে জাল দলিল তৈরি করে। যা আইনবিরোধী। আমার ভাই আব্দুন নুর যু্ক্তরাজ্যে মারা যাওয়ার আগ থেকেই হবিবপুর গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে আজিদ মিয়া বাড়িটি দেখা শোনা করতেন।
এই নিয়ে আমরা বহুবার এলাকায় সালিশ বৈঠক সহ নানা পদক্ষেপ নিলেও কোনো সুফল পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের শরনাপন্ন হয়ে বাটোয়ারা মামলা করি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমার চাচাতো ভাইও একটি স্বত্ত্ব মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ভুক্তভোগী মোছা: শিবলী বেগম দেশে আসার কয়েকদিন পর গত ২৮ এপ্রিল জগন্নাথপুর পৌরসভার ইসহাকপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত এখলাছুর রহমানের ছেলে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মোঃ আবু লেইছের নেতৃত্বে হবিবপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার আজিদ মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী বাড়িটি দখলের অপচেষ্টায় হামলা চালায়। জমির কিছু দলিলপত্র ও রেকর্ড আমার কাছে থাকলেও এক পর্যায়ে বিবাদী আবু লেইছ ও আজিদ মিয়া ঘরের তালা ভেঙে সবগুলো দলিলপত্র নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিবলী বেগমের চাচাতো বোন হবিবপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত ওয়ারিছ আলীর মেয়ে মোছা: রাশিদা বেগম বাদী হয়ে গত ২ মে ইছহাকপুর গ্রামের মৃত এখলাছুর রহমানের ছেলে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মোঃ আবুলেইছ ও হবিবপুর গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে আজিদ মিয়াকে আসামী করে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জগন্নাথপুর থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03