আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি


আজ সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় গেল ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

এদিকে রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য, সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সকলের স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০ শতাংশ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ লাখ টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮-৩০ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬ দশমিক ৬৫ লাখ টন।

এদিকে, বাজারে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ৮০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় পেঁয়াজের দাম নেমে ফের আবার ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। মূলত পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে আমদানির কথা বলা হয়েছিল কিছুদিন আগে। তখনই ৮০ টাকা থেকে নেমে প্রতি কেজি বিক্রি শুরু হয় ৭৫ টাকায়। কিন্তু আমদানির কোনো কার্যকারিতা খুচরা বাজারে না আসায় ফের পেঁয়াজের দাম ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় ঠেকেছে। এ অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির ঘোষণা দিলো কৃষি মন্ত্রণালয়।

[১] [২] [৩]