পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন


যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনাবিধি লঙ্ঘনজনিত ‘পার্টি গেট’ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হওয়া তদন্তের প্রতিবেদনের জেরে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এদিকে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার আগে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান বরিস জনসন। তার মতে ওই প্রতিবেদন হেঁয়ালি, অসত্য ও পক্ষপাতে পরিপূর্ণ।

এ নিয়ে এক বিবৃতিতে বরিস বলেন, তারা এখনও কোনো প্রমাণ তৈরি করতে পারেনি যে, ‌‌আমি জেনেশুনে বা বেপরোয়াভাবে সেই বিধি ভঙ্গ করেছি।

পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ত্যাগ করা খুবই দুঃখজনক, অন্তত আপাতত। তবে সর্বোপরি আমি আতঙ্কিত যে আমাকে অগণতান্ত্রিকভাবে একটি তীব্র পক্ষপাতমূলক কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জোর করে বহিষ্কার করা হতে পারে।

 

এর আগে গত মার্চে বরিস তদন্ত কমিটির কাছে এটা স্বীকার করেছিলেন যে, করোনা বিধি উপেক্ষা করে বন্ধুদের নিয়ে পানাহারের আয়োজন করার বিষয়ে তিনি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তবে তিনি এও বলেছিলেন যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেননি।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালীন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। সে সময় করোনার বিধিনিষেধ না মেনে তার কার্যালয়ে একাধিক পানাহারের আয়োজন করেন তিনি। এ ঘটনাকেই ‘পার্টি গেট’ কেলেঙ্কারি বলা হয়। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন।

 

[১] [২] [৩]