দুই সিটিতে ভোট শুরু : সিসি ক্যামেরায় নজর ইসির

খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে সরাসরি ভোটের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার সকাল আটটায় একযোগে শুরু হয়েছে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ। যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু সময় পর থেকেই নির্বাচন কমিশনাররা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনে স্থাপিত মনিটরিং সেলে বসে ভোট দেখছেন। সঙ্গে অন্যান্য কর্মকর্তারাও আছেন।

অন্য ভোটের মতো দুই সিটিতেও নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম, ভোটদানে বাধাদানসহ গোপন বুথে অযাচিত মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে তৎপর নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সবশেষ গাজীপুরের ভোটে সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম দেখে দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসি।

নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন কমিশন।

সম্প্রতি সিলেটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, কেউ ভোট দিতে না পারলে তিনি যেন সিসি টিভি ক্যামেরায় চিৎকার করে বলেন। সে দেখে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।

নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, ‘বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন গাজীপুরের নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে বলে বিশ্বাস করি। অনিয়মের সঙ্গে কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে অতীতের চেয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পুরো সময় সিসি ক্যামেরায় নজর রাখা হবে। কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা।’

এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে দুই সিটিতে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল প্রতীক), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল প্রতীক) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা প্রতীক)। আর টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শফিকুর রহমান মুশফিক।

এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৭৭ জন। নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার এবং ভোটগ্রহণ হবে ২৮৯ কেন্দ্রের ১৭৩১টি কেন্দ্রে।

এদিকে বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা প্রতীক), জাতয়ী পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল প্রতীক), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা প্রতীক) ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল)। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে রয়েছেন কামরুল আহসান রুপন, হাতী প্রতীকে মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকে মো. আলী হোসেন হাওলাদার।

এছাড়া এ সিটিতে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৫৮ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৬ জন এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। বরিশাল সিটিতে ভোট প্রদান করবেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার। ভোটগ্রহণ হবে ১২৬ কেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে।

[১] [২] [৩]