৩৮২ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে ব্যাটিং অর্ডার। আট বলের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলাম। মিরাজকে ফেরান ইয়ামিন আহমেদজাই। পরের ওভারে জোড়া আঘাত নিজাত মাসুদের।

নিজাত মাসুদের গতকাল সকালটা ছিল রঙিন, ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই পেয়েছিলেন উইকেট। দ্বিতীয় দিন সকালটা আরও রাঙালেন আফগানিস্তানের অভিষিক্ত পেসার। অভিষেকেই ৫ উইকেট পেয়ে গেলেন তিনি। মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলামের পর তার সর্বশেষ শিকার শরীফুল ইসলাম। এ বাঁহাতি ফুললেংথের বলে হয়েছেন বোল্ড।

৩৮২ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে ২০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা।

আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন ৭২ রানের জুটিতে এদিন সকালে আর ১১ রান যোগ করতে পেরেছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনের চতুর্থ ওভারে মিরাজের বিদায়ের পর আর ৯ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ।

ফিফটির সম্ভাবনা জাগালেও মুশফিক ও মিরাজের কেউই তা পারেননি। মুশফিক ৪৭ ও মিরাজ ৪৮ রানে থেমেছেন। পঞ্চম ওভারে মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলাম ফিরে যান। তাইজুলের বিদায়ের ২ রান পর ফিরে যান ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ। তখন দলীয় সংগ্রহ ৩৭৭ রান। এর ৫ রান পর শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন শরিফুল ইসলাম।

অভিষেকে প্রথম বলেই জাকির হাসানের উইকেট পাওয়া মাসুদ দ্বিতীয় দিন আরও ভালো বোলিং করলেন। এদিন তার শিকার ৩ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট।

সব মিলিয়ে ১৬ ওভারে ৭৯ রানে পেলেন ৫ উইকেট। আমির হামজা হোতাকের পর আফগানিস্তানের প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেকে ৫ উইকেটের কৃতিত্ব তার। আরেক পেসার আহমেদজাই ধরেছেন দুই শিকার। তিন স্পিনার জাহির খান, আমির হামজা ও রহমত শাহ পেয়েছেন একটি করে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাসুদের শিকার হন জাকির হাসানের। এতে দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে চাপমুক্ত করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে গড়েন দারুণ এক জুটি। শান্ত ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। ফিফটি পেয়েছেন তার বড় জুটির সঙ্গী জয়ও। তবে তিনি বেশ দেখেশুনে খেলেছেন। ১০২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন টাইগার ওপেনার। যদিও সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ভুলভাল শট খেলে। জয়ের আউটে ভাঙে শান্তর সঙ্গে ২৬৭ বলে গড়া ২১২ রানের বড় জুটি। টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা জুটি।

[১] [২] [৩]