৪২ মণ ওজনের ‘বিগ বস’ কিনলে মোটরসাইকেল উপহার!

এবার কোরবানির ঈদে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ‘বিগবস’র সঙ্গে ফ্রি থাকছে একটি মোটরসাইকেল।

৬ বছর বয়সী বিশাল আকৃতির ষাঁড় ‘বিগবস’র ওজন সাড়ে ৪২ মণ। গরুটির মালিক আফিল উদ্দীন ‘বিগ বস’র দাম হাঁকিয়েছেন ৩৫ লাখ টাকা! আর বিগ বসকে যিনি কিনবেন তিনি ফ্রি পাবেন একটি মোটরসাইকেল।

বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির মালিক আফিল উদ্দীনের বাড়ি হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামে।

এরই মধ্যে উপজেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ‘বিগ বস’ নামক ষাঁড়টি। গতবারে ‘বিগবস’কে কিনতে ২২ লাখ টাকা দাম বলেছিলেন স্থানীয় এক ক্রেতা। কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করেননি তিনি। এবার আশা করছেন কাঙ্খিত দামে বিক্রি করতে পারবেন।

জানা গেছে, বিশাল আকৃতির ষাড় ‘বিগবস’র প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগান দিতে হয় দানাদার ও তরল খাদ্য হিসেবে খইল, ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুসি, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুঁড়া। পাশাপাশি খাওয়ানো হয় বিভিন্ন ফলমূলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার। এর জন্য প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ২২’শ টাকা ব্যয় হয় খামারি মালিকের।

গরুটি লম্বায় ১০ ফিট ও উচ্চতায় ৫ফিট ১০ ইঞ্চি। এর ওজন বলা হচ্ছে ১৭’শ কেজি অর্থাৎ সাড়ে ৪২ মণ।

এলাকায় তার বিগ বসই সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে দাবি আফিল উদ্দিনের। ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে পরিমাপ করে ষাঁড়টির ওজন নিশ্চিত করেন তিনি!

আর এই বিশাল আকৃতির গরুটিকে একপলক দেখার জন্য স্থানীয়রাসহ অনেক দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন শতশত মানুষ। ষাঁড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে সার্বক্ষণিক পশু চিকিৎসক। আর রাতে নিরাপত্তার জন্য থাকে নিবিড় নজরদারি।

স্থানীয় বিজলি আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, নিজের সন্তানের মতো যত্ন করে গরুটিকে বড় করেছেন আফিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী। তাদের দেখে আমাদের এখানকার অনেকে এভাবে গরু লালন-পালন কররা পরিকল্পনা করছে।

আফিল উদ্দিন বলেন, এলাকায় যে কয়টা ষাঁড় আছে, সেগুলোর তুলনায় আকারে অনেক বড় হওয়ায় তিনি ষাঁড়টির নাম রেখেছেন বিগ বস। এত যত্ন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছয় বছর ধরে আদর-যত্নে ষাঁড়টিকে লালন করছি।’

বিগ বসের দাম কত জিজ্ঞেস করতেই আফিল উদ্দিন বলেন, ‘বিগ বসের ওজন ১৭’শ কেজি। তাই দাম চাচ্ছি ৩৫ লাখ টাকা। এই দামে কিনলে বিগ বসের সঙ্গে ১৬০ সিসি’র পালসার একটি মোটরসাইকেল উপহার দেব।’

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এমন বড় আকৃতির বা ওজনের দ্বিতীয় গরু জেলায় নেই। গরুটিকে কোন খারাপ মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়নি। আমরা সবসময় গরুটিকে পরিদর্শন করে পরামর্শ প্রদান করে থাকি।

[১] [২] [৩]