শাবিতে সংঘর্ষ: নৌকার গাড়ি ভাঙচুর

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের সময় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল ৫টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন।

জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম রুকন বিষয়টি জানিয়েছেন।

এ সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন, দোকান ও যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে ভাঙচুরের কবলে পরে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে প্রচারণার একটি গাড়ি। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ মধ্যে ইটপাটকেলের নিক্ষেপে নৌকার প্রচারণার গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।

এছাড়াও বালাদেশ আওয়ামী যুবলীগ- এর সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ও ভাঙচুর করা হয়।

ওসি সাইফুল ইসলাম রুকন জানান, শুক্রবার বিকেলে বহিরাগতদের সঙ্গে হাতাহাতির জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা। এসময় এলাকাবাসী ও শাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান কয়েকজন বহিরাগত। এক পর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী তাদেরকে ভিতরে যেতে বাধা দেওয়ায় তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শাবি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শাবির ভিতরের রাস্তা স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবহার করার দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে এলাকাবাসীর মধ্যে। এসময় উভয়পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। শাবি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

এক পর্যয়ে আখালিয়া এলাকাবাসী ও শাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাখানেক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

[১] [২] [৩]