চিনির দাম কেজিতে ২৫ টাকা বাড়ানোর দাবিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৩, ৮:২৩ অপরাহ্ণ

আবারও চিনির দাম বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা। চিনির দাম কেজিতে সার্বোচ্চ ২৫ টাকা বাড়ানোর কথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে মিল মালিকরা। আগামী ২২ জুন থেকে এ দাম কার্যকর করতে চান তারা। সোমবার শুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য সচিব বরাবর ওই চিঠি পাঠানো হয়।

বর্তমানে প্রতিকেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারিত আছে। তবে সরকার নির্ধারিত এই দাম ব্যবসায়ীরা মানছেন না। বাজারে প্রতিকেজি চিনি ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবে আগামী ২২ জুন থেকে প্রতিকেজি খোলা চিনি ১৪০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১৫০ টাকা নির্ধারণের কথা জানানো হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ভোজ্যতেল, চিনিসহ আরও কয়েকটি আমদানি পণ্যের দাম বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নির্ধারণ করে সরকার। দামের অস্থিরতার মধ্যে ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি সরকারের দ্বারস্থ হয়ে দাম বৃদ্ধির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এখন নিজেরাই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে খোলা চিনির কেজিতে ২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির কেজিতে ২৫ টাকা বাড়াতে গত ৬ জুন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।

তখন সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিলো, আমদানিকারকরা আবেদন করলেও এখনি দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে না। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমান দাম এবং আনুষঙ্গিক খরচসহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ১১ মে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ায় দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমদানিকারক থেকে খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানেনি এ দর। বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। তবে রোজার ঈদের পর থেকে প্যাকেটজাত চিনি বাজার থেকে ‘নাই’ হয়ে গেছে।

ট্যারিফ কমিশনে পাঠানো চিঠিতে আমদানিকারকরা বলেছেন, বর্তমানে বিশ্ববাজার থেকে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি ৬৪০ থেকে ৬৫০ ডলার দিয়ে আমদানি করতে হচ্ছে। এসব চিনি খালাস হচ্ছে এবং প্রসেস করে বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমান আমদানি মূল্য, ডলারের বিনিময় হার, বর্ধিত ব্যাংক সুদ, জাহাজ বিলম্বিত জরিমানা এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনা করে দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...