২ হাজার কোটি টাকা পাচার: মোশাররফের ভাইসহ আসামি ৪৭

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৩, ৬:৫০ অপরাহ্ণ

টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবরসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

কাফরুল থানার এই মামলায় আগে আসামি ছিল ১০ জন। নতুন করে তদন্তের পর আরও ৩৭টি নাম যুক্ত করে আদালতে জমা দেয়া হয়।

রোববার আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম মিঠু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে গত ২২ জুন এ প্রতিবেদন জমা পড়লেও তা কাওকে জানানো হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ জুলাই মামলাটির তারিখ রয়েছে। সেদিন সম্পূরক অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ২০২১ সালের ৩ মার্চ ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।

গত বছর ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির তারিখ ছিল। কিন্তু সেদিন পুলিশ প্রতিবেদনে কিছু ‘অসঙ্গতি’ দেখতে পেয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনা মেনে তদন্তের পর আরও নাম যোগ হয়।

মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার, তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

২০২০ সালের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ি সড়কে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। পরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তিনি।

ওই ঘটনায় ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হন বরকত ও রুবেল। তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের খবর এরপর বেরিয়ে আসতে থাকে, বেশ কয়েকটি মামলাও হয়।

অর্থপাচারের অভিযোগে ওই বছর ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন বরকত ও রুবেল। ওই ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বরকত ও রুবেল বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন।

এছাড়া তারা মাদক কারবার ও ভূমি দখল করেও অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্প ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরোর মালিক তারা। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের মধ্যে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছেন বলে সিআইডির অভিযোগ।

১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ফরিদপুরের এক আইনজীবী হত্যার মামলারও আসামি বরকত ও রুবেল।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...