শাহজালাল বিমানবন্দরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অপরাধে জড়াচ্ছে

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৩, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চোরাচালান, যাত্রী হয়রানিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন নিরাপত্তার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানবন্দরের প্রতিটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কোনো না কোনো কর্মী জড়িত। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একটি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার দুপুরে বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশন আয়োজিত গণশুনানিতে এসব কথা উঠে আসে।

গত ৬ জুন ঢাকা বিমানবন্দরে এক গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ ওঠে। ঐ কর্মকর্তা বিদেশ ফেরত এক যাত্রীর কাছে অবৈধ পণ্য নেন বলে অভিযোগ তোলেন আরেক যাত্রী। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ।

১৪ জুন একই গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্যের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর ঐ কর্মী দুই হাজার রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন।

গণশুনানিতে এসব অভিযোগের বিষয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে, নানা ব্যবস্থা নেয়া হলেও স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না। এতে ক্ষুণ্ন হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি।

গণশুনানিতে বিমানবন্দরে নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলেন যাত্রীরাও।
কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে শিগগিরই কল সেন্টার চালু করা হবে।

এসব বিষয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমরা এত কিছু করার পরেও স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করতে পারিনি। এটা অত্যন্ত কষ্ট দেয়। স্বর্ণ চোরাচালানের মতো তথ্য যদি আগে পান অবশ্যই আমাদের জানাবেন। অনেকে জানাচ্ছেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ধরাও পড়ছে। এখানে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি জড়িত।

স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে বিষয়টি কিভাবে জিরো টলারেন্সে আনা যায় সে চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন সিভিল অ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যান।

বিমানবন্দরের কর্মরতদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম আসছে জানিয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রত্যেক সদস্যের পরিচয় এক থাকবে, তাদের জন্য অভিন্ন ইউনিফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে বিভিন্ন সংস্থা থেকে এসে অফিসাররা সার্ভিস দিচ্ছে। এখানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার বাহিনীর ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। তারা ভিন্ন ভিন্ন বাহিনীর হলেও তাদের কাজ অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি নিশ্চিত করা। যেহেতু তাদের সার্ভিসটা একই তাই আমরা তাদের একটা ইউনিফর্ম প্রবর্তন করব। ইউনিফর্মের ডিজাইন ফাইনাল করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এয়ারলাইন্সগুলোর লাগেজ রেখে আসার বিষয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যান বলেন, অনেকসময় এয়ারলাইন্সগুলো ন্যারো বডির এয়ারক্রাফটে (ছোট এয়ারক্রাফট) যাত্রীভর্তি করে নিয়ে দেশে আসে। তখন সব লাগেজ আনতে পারে না। আমরা ইতোমধ্যে এয়ারলাইন্সগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি। এছাড়াও যারা ন্যারো বডির এয়ারক্রাফট নিয়ে দেশে আসে তাদের আমরা কিছু সিট ফাঁকা রেখে আসতে বলেছি।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...