সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
সাধারণত ঈদের ছুটিতে মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকা পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে। এ ছাড়া এবার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে প্রাণ পেয়েছে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ভ্রমণপিপাসুরা এই সময় বেছে নেন। অথচ ঈদের ছুটিতে এসব এলাকায় চলছে পর্যটক খরা। এমনকি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক কমে গেছে পর্যটকের পদচারণা। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও লাউয়াছড়ায় নেই আগের সেই চিরচেনা দৃশ্য। সব পর্যটনকেন্দ্র অনেকটা ফাঁকা।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত এই ৪ দিনে মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে হাতেগোনা পর্যটকের আগমন ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সিলেট বনবিভাগের আওতাধীন বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এলাকায় ৭ হাজারের মতো পর্যটক ঘুরে গেছেন। অথচ অতীতে ঈদের ছুটিতে প্রতিদিনই ৫-৭ হাজার পর্যটক আসতেন।’ জানা গেছে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকের সংখ্যা আরো অনেক কম।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের (হেডকোয়ার্টার মৌলভীবাজার) সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার মিত্র জানান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঈদের দিন মাত্র ২৯৮ জন পর্যটক এসেছিলেন। পরবর্তীতে শুক্রবার ১ হাজার ১ শত ৬২ জন, শনিবার ৯ শত ২২ জন এবং রবিবার ১ হাজার ১ শত ৪২ জন পর্যটক এই এলাকা ঘুরে গেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ ছুটির দিনের চেয়েও লাউয়াছড়ায় পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম। যারা এসেছেন বেশিরভাগ সিলেটের। বাইরের পর্যটক নেই বললেই চলে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদের মৌসুমে লাউয়াছড়ায় প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক প্রবেশ করেন। সে তুলনায় বর্তমান এই সংখ্যা খুবই কম। লাউয়াছড়া টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা শাহীন মাহমুদ বলেন, ‘ঈদে অন্য বছরের তুলনায় লাউয়াছড়ায় পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। অন্য সময় যেভাবে ভিড় থাকে, এখন তা নেই। যারা এসেছেন এরমধ্যে স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা বেশি। বাইরের পর্যটক কম এসেছেন।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, ‘লাউয়াছড়ায় সাধারণ সময়ে যে ভিড় থাকে, ঈদের ছুটিতে সেই ভিড়ও নেই। রাস্তা ফাঁকা।’ দু-এক দিনের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে লাউয়াছড়া সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানে পর্যটক কমে যাওয়াকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষকরা। তারা মনে করেন, সংরক্ষিত বনে পর্যটকের উপস্থিতি কম মানে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি কম হবে। বনের পশুপাখি যত কম উত্যক্ত হয়, এরা ততই ভালো থাকবে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03