অনুপ্রাণন সম্মাননা পেলেন আটজন কবি ও লেখক

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৩, ৩:২১ অপরাহ্ণ

অনুপ্রাণন গল্প ও গল্পকার সংখ্যা প্রথম পর্বের মোড়ক উন্মোচন করেন সম্পাদক আবু এম ইউসুফ, কথাসাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই ও সুব্রত বড়ুয়া

দিনটা ১৪ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার; স্থান জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন। সময় বিকেল ৪.৩০, ঘড়ির কাঁটায় এই সময়ে শুরু হওয়ার কথা অনুপ্রাণন লেখক সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠান। বরাবরের মতো এই অনুষ্ঠানও তিনটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে সদ্য প্রকাশিত শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন’র গল্প ও গল্পকার সংখ্যা প্রথম পর্বের মোড়ক উন্মোচন; দ্বিতীয় পর্বে পাঁচজন তরুণ কবি ও পাঁচজন তরুণ কথাসাহিত্যিকের বইয়ের পাঠ উন্মোচন ও শেষ পর্বে অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইয়ের আটজন লেখককে সম্মাননা প্রদান।

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শব্দানুরাগীরা আসা শুরু করেন অনুষ্ঠানে। বিকেল ৫টার আগেই মিলনায়তন লেখকে লেখকারণ্য হয়ে উঠল!

অনুষ্ঠান শুরু হয় ১০ জন শিশুশিল্পীর গান দিয়ে। এর পরের পর্বগুলোতে একক ও দ্বৈত কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন ড. অনুপম কুমার পাল ও ইসরাত জাহান সেতু। স্বাগত বক্তব্যে সম্পাদক ও প্রকাশক আবু এম ইউসুফ অনুপ্রাণনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক বুলবুল মহলানবীশ প্রয়াত হন শুক্রবার ভোরে। তার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন অভ্যাগতরা।

ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন দ্বাদশ বর্ষ ১ম সংখ্যা হিসেবে বাংলাদেশের নির্বাচিত ১০০ গল্পকার প্রথম পর্বে স্থান পেয়েছেন ২৫ জন গল্পকার। এ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন কথাসাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই ও সুব্রত বড়ুয়া। অনুপ্রাণন প্রথম সংখ্যায় আলোচনা করা হয় ২৫ জন গল্পকারের গল্পকর্মের সামষ্টিক মূল্যায়ন। এই ২৫ জন গল্পকারের জন্ম ১৯৫০ সালের মধ্যে।

নানা দৃষ্টিকোণ থেকে তরুণদের কবিতার বই নিয়ে আলোচনা করেন সরদার ফারুক। এরপর কথাসাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন মোজাম্মেল হক নিয়োগী। রচনার বৈচিত্র্য, গতানুগতিকতা ও দুর্বলতা উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক নিয়োগী লেখালেখিতে ভালো করার কিছু পরামর্শ দেন।

আলোচ্য ১০টি বই থেকে পাঠ ও আবৃত্তি করে শোনান দেওয়ান সাইদুল হাসান, সুলতানা শাহরিয়া পিউ, তাহমিনা শাম্মী ও আরো কয়েকজন আবৃত্তিকার।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সম্মাননা দেওয়া হয় আটজন কবি ও লেখককে। তারা হচ্ছেন—কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার, কবি রায়হান শরীফ, কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন কবির, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক মনিরা আক্তার, কবি ও কথাসাহিত্যিক লতিফ জোয়ার্দার, কবি ও কথাসাহিত্যিক সুমন শাম্স, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক বাসার তাসাউফ, কবি মোহাম্মদ হোসাইন। সম্মাননাপ্রাপ্তদের ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও অনুপ্রাণন নামাঙ্কিত মগ উপহার দেওয়া হয়।

পুরো অনুষ্ঠানটিতে প্রাণবন্ত উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন সুলতানা শাহরিয়া পিউ ও তাহমিনা শাম্মী। তাদের সহায়তা করেন সাদিয়া ইয়াসমিন অনন্যা, মিতা আক্তার শিখা ও মানসুরা আক্তার। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন বাঁকে উপস্থাপকরা আমন্ত্রিত অতিথি, কবি ও লেখকদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়ে শোনান।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...