সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের রাস্তাটি চরম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তাটি ভাঙাচোরা হওয়ায় এ সড়কে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পল্লি সড়ক অবকাঠামো প্রকল্পের আওয়াত কাজ শুরু হলেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় জনসাধারণ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পল্লি সড়ক অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় আমড়াতৈল, নয়াবন্দর বাজার ভায়া শ্রীরামশি বাজার পূর্ণবাসন প্রকল্পে চার কোটি ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ২৭৮ টাকা ব্যায়ে ২০২২ সালে মেসার্স ইসরাত বিল্ডাস কাজ শুরু করে। একত্রিশ মার্চ ২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়া কথা ছিল। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পরও কাজের ধীর গতি সকলের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, আমাদের অসুস্থ রোগীদের এ রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেলে রোগী মৃত্যু পথযাত্রী হয়ে যায়। গর্ভবতী মায়েরা এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হয়। এরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি হলে রাস্তার উপর পানি দীর্ঘক্ষণ জমে থাকে। এই রাস্তা মানুষ ও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। আমাদের এত উন্নয়ন উপজেলা জুড়ে হওয়ার পর সড়কটি দিয়ে চলতে গেলে মনে হয় এগুলো জগন্নাথপুরের রাস্তা নয়, সড়কগুলো যেন মরণফাঁদ। জনগণের পথচলার কষ্টের কাহিনী কে শুনবে। প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর কাজ শুরু হলেও তিনি মারা যাওয়ার পর কাজ বন্ধ থাকায় সকলের মনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সান্টু রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ থাকার পর আমরা গত সাপ্তাহের কাজ শুরু করছি। রাস্তায় পানি থাকায় কাজ করতে পারতেছিনা। আগামী সাপ্তাহ থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করবো।’
উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি জানান, এ কাজের ঠিকাদার সময় মত কাজ করতেছে না। আমরা বার বার চিঠি দিয়েছি ঠিকাদারের কাজটি বাতিল করার জন্য। এ কাজে বাজে মাল নিয়ে আসে। আমরা সেখানে গিয়ে কাজটি বন্ধ করেছি। এটা ঠিকাদারের অবহেলা। আমরা এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি উনারা এখন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03