চট্টগ্রামে জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে নগরের আলমাস সিনেমা হলের সামনে থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে কাজীর দেউড়ি মোড়, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড় ও লালখান বাজারসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে গায়েবানা জানাজার সময় ও স্থান উল্লেখ করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দেয় নেতাকর্মীরা। পরে ঠিক বিকেল ৪টা ৪ মিনিটে আবারও আরেকটি পোস্ট দিয়ে জানায়, ‘অনিবার্য কারণবশত চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা স্থগিত করা হয়েছে’। তবে এ স্থানের পরিবর্তে অন্য কোনো জায়গায় ‘গায়েবানা জানাজা’ পড়বে কিনা তা জানা যায়নি।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কধুরখীল ইউনিয়নের কধুরখীল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গায়েবানা জানাজা পড়তে গিয়ে পুলিশ দেখে সটকে পড়ে নেতাকর্মীরা। এছাড়া সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাদ আসর এসব জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন বলেন, ‘সাঈদীর গায়েবানা জানাজা পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হলেও বোয়ালখালীতে গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়তে দল বেঁধে কধুরখীল স্কুল এণ্ড কলেজের মাঠের দিকে যাচ্ছিল নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি দেখে তারা পালিয়ে যায়।’ একইসঙ্গে থানা পুলিশ সতর্ক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় সাইদীকে। সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

[১] [২] [৩]