হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হাত-পা কেটে হত্যা, সাবেক স্বামী আটক

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আকলিমা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূকে হাত-পা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সুজন মিয়াকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাচং গ্রামে স্ত্রীকে কুপিয়ে হাত-পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেন স্বামী। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে আকলিমার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে আকলিমাকে বিয়ে করেন সুজন মিয়া। তাদের ১৫ বছরের সংসারে ৭ ছেলেমেয়ে আছে। আকলিমা স্বামী-সন্তান রেখে অন্যত্র বিয়ে করেছেন, এমন অভিযোগ তুলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াবিবাদ লেগে থাকত। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়।

এদিকে, শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যার আগমুহূর্তে বাড়ির সামনে একটি নারকেলগাছ পরিষ্কার করছিলেন সুজন মিয়া। ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন আকলিমা। এ সময় একে-অপরকে গালাগাল দেন। একপর্যায়ে সুজন মিয়া তার হাতে থাকা দা দিয়ে আকলিমাকে কোপাতে শুরু করেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আকলিমার বাঁ হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর ডান হাতের কবজি কেটে যায়। একইভাবে বাঁ পা গোড়ালি থেকে ঝুলে আছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সুজন মিয়াকে আটক করে চুনারুঘাট থানা-পুলিশ।

আটকের পর সুজন মিয়া পুলিশকে জানান, আকলিমা তার সাবেক স্ত্রী। তিনি সাত ছেলেমেয়ে রেখে অন্যত্র বিয়ে করায় তাকে তিনি তালাক দিয়েছেন। আজ (শনিবার) আকলিমা তাকে গালিগালাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তার হাত-পা কেটে দিয়েছেন।

আকলিমার মেজ মেয়ে তানজিনা আক্তার জানান, তার বাবা মাদকাসক্ত। প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরে মাকে নির্যাতন করতেন।

তানজিনা বলেন, বাবা আমাদের ভরণপোষণ করেন না। মা-ই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল। আমার বাবা সেই মায়ের হাত-পা কেটে মেরে ফেলেছেন। এখন আমরা কেমনে বাঁচুম।

চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, আকলিমার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

[১] [২] [৩]