সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনা সরকারের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করছে। এতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে পারে। আর এর সুযোগ নিতে পারে চীন। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট করেছে ভারত।
সোমবার হিন্দুস্তান টাইমসের এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে- আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশে চরমপন্থী শক্তি আরও শক্তিশালী হতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে যে- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ইস্যুতে মার্কিন চাপ বাংলাদেশকে চীনের কাছাকাছি ঠেলে দিতে পারে।
যদিও ভারত স্পষ্ট করে বলেছে, তারাও বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। মার্কিন প্রশাসনের এ বিষয়ে খুব বেশি চাপ চরমপন্থী ও মৌলবাদী শক্তিকে উৎসাহিত করবে বলে ধারণা ভারতের, যা শেখ হাসিনা সরকার যথাযথভাবে দমন করতে সফল হয়েছে।
এছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা, ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির আরোপের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে চীন।
সর্বশেষ ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে চীন প্রেসিন্ডেন্টের মন্তব্যে ভারতের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায়’ বাংলাদেশকে সমর্থন করবে চীন। ঢাকার সঙ্গে কাজ করতে সম্মত বেইজিং।
ওই বৈঠকে শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করা হয়, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের’ ওপর নির্ভরশীল। একই সঙ্গে চীন চায় না বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হোক।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03