পাইকারিতে ডিমের দাম কমলেও খুচরায় কমেনি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২০ অপরাহ্ণ

আমদানির পর থেকে পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। তবে পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় কমেনি। এখনো অধিকাংশ পাড়া-মহল্লার দোকানে ১৫০ বা তার আশপাশে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে। আর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। আবার কোথাও কোথাও ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভোক্তাদের বাড়তি দামেই ডিম খেতে হচ্ছে।

এর আগে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে শুরুতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে সে অনুমোদন বাড়িয়ে ১০ কোটি পিস করা হয়। এরপর গত ৯ দিনে দুই দফায় পাইকারিতে কিছুটা কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রথম দফায় গত সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রতি ১০০টি ডিমের দাম ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমে। শেষ দফায় গত দুদিনে কমেছে আরও প্রায় ২০ টাকা। এতে আমদানির খবরের পর থেকে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কমেছে প্রতি একশোতে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

এর আগে সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতি পিস ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অর্থাৎ খুচরায় প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৮ টাকা হওয়ার কথা। সেখানে অধিকাংশ দোকানে বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা বেশি। যদিও কোনো বাজারের দোকানে এখন ৪৮ টাকায় ডিম মিলছে।

মঙ্গলবার সেগুনবাগিচা ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, পাইকারিতে ১০০ পিস বাদামি রঙের ডিম কিনেছেন এক হাজার ১৩০ থেকে এক হাজার ১৪০ টাকায়, গতকাল যা ছিল এক হাজার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এতে তাদের প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪০ পয়সা পর্যন্ত।

এদিকে এলাকার বাজারের অধিকাংশ দোকানীরা এসব ডিম বিক্রি করছেন প্রতি ডজন ১৪৫ টাকা দরে। অর্থাৎ ১২ টাকা ৮ পয়সায়। তবে হালি নিলে নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা দর। প্রতিটি সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) হিসাবেও ওঠে এসেছে ডিমের দাম কমার বিষয়টি। সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা হালিতে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় দুই টাকা কম।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...