সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহু কাঙ্ক্ষিত তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন (সফট ওপেনিং) করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন তিনি। এটি উদ্বোধনের জন্য আজ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হন তিনি। এর পর টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্সাল এম মফিদুর রহমান।
তৃতীয় এ টার্মিনালে মিলবে উন্নত বিশ্বের আধুনিক বিমানবন্দরগুলোর মতো নানা সুবিধা। সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক এ মেগা প্রকল্পে যাত্রীদের জন্য থাকছে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। ই-গেট, হাতের স্পর্শ ছাড়া চেকিং, যাত্রীদের চলাচলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংকেত ব্যবস্থা ও নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা যাবে এ টার্মিনালে। সুপরিসর অ্যাপ্রোন, বিশাল গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত লাগেজ বেল্ট যাত্রীদের দেবে নতুন অভিজ্ঞতা।
এ ছাড়া বিমানবন্দরে আসতে যাত্রীদের দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকার দুর্ভোগ কমাতে মূল সড়ক ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা হচ্ছে এ টার্মিনাল। গাড়ি নিয়ে দ্রুত প্রবেশ এবং দেশে আসা যাত্রীরা কম সময়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে রওনা দিতে পারবেন নিজ নিজ গন্তব্যে। অবশ্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ নতুন টার্মিনালটি যাত্রী চলাচলের জন্য প্রস্তুত হতে সময় লাগবে আরও এক বছর।
নতুন এ টার্মিনালে কী নেই এ কথা বলতে পারবেন না কেউ। টার্মিনাল ও রানওয়েতে একসঙ্গে থাকবে ৩৭টি উড়োজাহাজ, ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ দিয়ে ওঠা যাবে বিমানে। আরও থাকছে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট, ১২৫টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ১১টি বডি স্ক্যানার ও স্ট্রেইট এস্কেলেটর সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরে সেবার ক্ষেত্রে যে বদনাম তা ঘুচিয়ে নতুন ভুবনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এভিয়েশন খাতে তৈরি হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১২টি এয়ারলাইনস কোম্পানি এরই মধ্যে নতুন করে বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্র্তৃপক্ষ (বেবিচক) ওইসব এয়ারলাইনসকে চলাচলের অনুমতি দিতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03