ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধে এবার ইসরায়েলের ওপর বেশ ক্ষেপেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। তবে সেটি ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হত্যার জন্য নয়। বরং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মিশরের দিকে আশার শঙ্কা নিয়ে।

তিনি দাবি করেছেন, স্থল হামলার ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিদের গাজার দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলিরা। গাজার দক্ষিণেই মিসরের সীমান্ত। ফলে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ইসরায়েল মিসরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) কায়রোতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজরের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইসরায়েলের উদ্দেশে এক হুঁশিয়ারিতে তিনি বলেন, গাজায় এখন যা ঘটছে তা হলো বেসামরিকদের মিসরে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করার চেষ্টা করা। যা মেনে নেওয়া উচিত নয়। মিসরকে অনুরোধ না করে বরং ফিলিস্তিনিদের নিজেদের নেগেভ মরুভূমিতে রাখতে পারে ইসরায়েলিরা।

তিনি বলেন, ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমি আছে। ফিলিস্তিনিদের নেগেভ মরুভূমিতে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে যতক্ষণ না তারা (ইসরায়েল) গাজা উপত্যকার সামরিকদের সঙ্গে যা করতে চায় তা শেষ না হয়।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের মিসরে স্থানান্তর করলে ইসরায়েল যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। পরবর্তীতে এ পরিণতি মিসরকে বহন করতে হবে। সিনাই তখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযানের একটি ঘাঁটি হবে এবং মিসরকে পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। ইসরায়েলের খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ অচল করার অর্থ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সিনাই উপদ্বীপে স্থানান্তর করার একটি উপায়, যা আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করি।

উল্লেখ্য, মিসরের সিনাই উপদ্বীপটি ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল বাহিনী দখল করে নেয়। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে স্থানটি মিসরকে আবার ফেরত দেওয়া হয়।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...