ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় জিম্মি করে রাখা দুই ইসরায়েলি মহিলাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) হামাসের মুখপাত্র আবু ওবেদার টেলিগ্রাম চ্যানেলের এক বিবৃতির বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবিক এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে গাজায় জিম্মি করে রাখা ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্যে দুইজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া দুইজনই নারী।

আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটিও (আইসিআরসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮৫ বছর বয়সী ইউখেবেদ লিফশিতজ ও ৭৯ বছরের নূরিত কুপারকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এর এক টুইট বার্তায় আইসিআরসি জানায়, আমরা আশা করি তারা শীঘ্রই তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে ফিরে আসবে।

মিশরের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া দুই ইসরায়েলি নাগরিক স্থানীয় সময় সোমবার রাতে রাফাহ সীমান্তে পৌঁছায়।

ইসরায়েল জানিয়েছে, মিসরের রাফাহ ক্রসিংয়ে ওই দুই নারীকে মিসরীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গত ৭ অক্টোবর যখন হামাস ইসরায়েলের কিব্বুতজ এলাকায় হামলা চালায় তখন এই দুজনকে জিম্মি হিসেবে ধরে এনেছিল। তবে এই দুই নারীকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাদের স্বামীদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।

এর আগে জিম্মি করে রাখা দুই মার্কিন নাগরিককে গত শনিবার মুক্তি দিয়েছে হামাস। তারা হলেন- জুডিথ রানান (৫৯) ও তার মেয়ে নাতালি রানান (১৭)। তাদের মুক্তির বিষয়টি জানিয়ে হামাস বলেছিল, মানবিক কারণে দুই মার্কিন জিম্মিকে তারা মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এবং দুজনকে মুক্ত করে হামাস আমেরিকান জনগণ এবং বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে চায় যে- বাইডেন এবং তার প্রশাসনের দাবিগুলো মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। পরের দিন থেকে হামলার প্রতিশোধ নিতে এ পর্যন্ত গাজায় বিমান হামলা অব্যহত রেখেছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় কমপক্ষে ৫ হাজার ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৫৫ জন শিশু ও এক হাজার ১১৯ জন শিশু রয়েছে।

 Print This Post