ম্যাক্সওয়েলের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩৯৯


আগের ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়ার দুইজন পেলেন সেঞ্চুরি। মার্শ আজকে মাইলফলকে পৌঁছাতে না পারলেও শতরানের ধারা অব্যাহত রেখেছেন ওয়ার্নার। তার সঙ্গে দ্রুততম সেঞ্চুরির মাইলফলক গড়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই দুই সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।

দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ডাচদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ওভারেই মার্শকে হারায় দলটি। তবে এরপর দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ১৩২ রান। ১৬০ রানের মাথায় ৭১ রান করে ফেরেন স্মিথ। এরপর মারনাস লাবুশেনকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। ২৪৪ রানের মাথায় ৬২ রান করে বিদায় নেন লাবুশেন। এরপর খানিক ছন্দপতন। ২৬৭ রানের মধ্যে ফেরেন জশ ইংলিশ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তবে তার আগেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। ৯৩ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।

ছয়ে নামা ম্যাক্সওয়েল শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। ২৯০ রানের মাথায় মাঝখানে গ্রিন ফিরলেও আরেক পাশে অধিনায়ক কামিন্সকে নিয়ে আগ্রাসন চালাতে থাকেন ম্যাক্সওয়েল। ৪০ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। এই বিশ্বকাপেই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড করা মার্করামকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১০৬ রান করে থামেন ম্যাক্সওয়েল। ৪৪ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। শেষ পর্যন্ত ৩৯৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি ঝড় বইয়ে দেয় ডাচ বোলার বাস ডি লিডের ওপর দিয়ে। ১০ ওভারে রেকর্ড ১১৫ রান দেন তিনি। ৭৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে ডাচদের সবচেয়ে সফল বোলার লোগান ভ্যান বিক।

 

[১] [২] [৩]