হরতালের মধ্যেই খুলে দেয়া হলো কর্ণফুলী টানেল

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ


সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের মধ্যেই খুলে দেয়া হলো চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। রোববার সকাল ৬টা থেকে টানেলটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। আর এইদিন বিএনপি-জামায়াত ও গণতন্ত্র মঞ্চ হরতালের ডাক দেয়ায় যান চলাচল শুরুর প্রথম দিনেই হরতালের কবলে পড়লো কর্ণফুলী টানেল।

কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, সকাল ৬টা থেকে যথাসময়ে টানেলে যানচলাচল শুরু হয়। হরতালের বিষয়ে কী হবে সেটা আমি বলতে পারব না। ।

তিনি আরও বলেন, হেঁটে টানেল পাড় হওয়া যাবে না। টানেল দিয়ে মোটরসাইকেলসহ দুই চাকা এবং তিন চাকার যানবাহন চলতে দেয়া হবে না। তবে পণ্যবাহী যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করবে। ডিজাইন অনুযায়ী টানেলের ভেতর ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলবে।

এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দোয়া ও মোনাজাত শেষে প্রধানমন্ত্রী গাড়িবহর টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারা প্রান্তে রওনা দেয়। বেলা ১২টা ১ মিনিটে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টানেলে টোল দেন প্রধানমন্ত্রী। তার কাছ থেকে টোল গ্রহণ করেন ঝুমুর আক্তার এক নারী। উদ্বোধন ও টোল দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর কর্ণফুলীর কেইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এদিকে, গত ১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল নির্ধারণ করে দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পারাপারে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাইভেটকার ও জিপের জন্য। সর্বোচ্চ টোল দিতে হবে ট্রাক ও ট্রেইলারকে। ট্রেইলারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোলের সঙ্গে প্রতিটি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে বাড়তি দিতে হবে।

এছাড়া পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০ টাকা, বাস (৩২ সিটের বেশি) ৪০০ টাকা, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০ টাকা, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৮ দশমিক ০১ থেকে ১১ টন) ৬০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি ট্রাক।

টানেল প্রকল্পে শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বেড়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এরমধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...