কসমেটিক সার্জারিতে হলিউড অভিনেত্রীর মৃত্যু!

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ


কসমেটিক সার্জারি প্রাণ কেড়ে নিল ২৯ বছররের হলিউড অভিনেত্রী ও ব্রাজিলের ইনফ্লুয়েন্সার লুয়ানা অ্যানড্রেডের। হাঁটুতে লাইপোসাকশন করানোর ঠিক পরের দিনই মৃত্যু হয় এই অভিনেত্রী। অস্ত্রোপচার করানোর সময় বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছিল, সেই কারণেই পর পর চার বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় লুয়ানার।

ব্রাজিলের সাও পওলোতে সাও লুইজ় হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় লুয়ানার। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, লুয়ানার পরিবার এই অস্ত্রোপচারের জন্য একজন বাইরের চিকিৎসককে নিয়োগ করেছিলেন। মৃত্যুর পর তদন্ত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় তার। অস্ত্রোপচারের পরেই লুয়ানাকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার হেমোডায়নামিক ট্রিটমেন্ট চলে। প্লাস্টিক সার্জান ডিওভেন রুয়ারো জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের আগে সে ভাবে কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না লুয়ানার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লাইপোসাকশান ট্রিটমেন্টের ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

অনেকের ধারণা, শারীরচর্চা বা খাদ্যাভ্যাসের বদল না করে কেবল মাত্র লাইপোসাকশনের মাধ্যমেই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলা যায় এই ধারণা একেবারেই ভুল। ঘুমের অভাব, খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপক অনিয়মের কারণে পেটের ভিতর, অন্ত্রের আশপাশে জমে মূলত শরীরের যে অতিরিক্ত ওজন বাড়ে, লাইপোসাকশনের মাধ্যমে সেই মেদ কমিয়ে ফেলা যায় না। এই পদ্ধতিতে একমাত্র ত্বকের নীচে জমে থাকা মেদ কমানো হয়। শারীরচর্চা, ডায়েট করার পরেও যখন ঊরু, নিতম্ব, ঘাড় ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ জায়গার মেদ কমানো যায় না, তখন লাইপোসাকশন করানো যেতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, কোনও অস্ত্রোপচার কিংবা মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সম্পূর্ণ বিপদের ঝুঁকিমুক্ত, এ কথা কখনওই বলা যায় না। কমবেশি ঝুঁকি সব ক্ষেত্রেই থাকে। তাই ভাবনাচিন্তা করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ করেই এই ধরনের অস্ত্রোপচার করানো ভাল। সূত্র: আনন্দবাজার

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...