এইচ এম আশরাফ আহমেদ : নিবেদিত প্রাণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্বের মৃত্যু

বার্মিংহামের সিনিয়র সাংবাদিক, চ্যানেল এস’র অঘোষিত ব্রান্ড এম্বেসেডর এবং মিডল্যান্ড ব্যুরো প্রধান এইচ এম আশরাফ আহমেদ আর আমাদের মাঝে নেই। ৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার ভোর ৭টা ৫ মিনিটে বার্মিংহামের হার্টল্যান্ড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে বয়স ছিল আনুমানিক ৬৩ বছর। তিনি চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। মৃত্যুকালে স্ত্রী-সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আমরা তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।
এইচএম আশরাফ আহমেদ যুক্তরাজ্যের বাঙালী কমিউনিটির সকলের কাছে একজন স্বজ্জ্বন মানুষ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে সামনের সারিতে থাকতেন পদ-পদবীর তোয়াক্কা না করে। তিনি আমৃত্যু স্মল হীথের ডিক্সন রোডস্থ শাহপরান জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুর স্বাদ প্রত্যেককেই পেতে হবে। এটি অবধারিত। তাই কোন মৃত্যুই অনাকাংখিত না হলেও কিছু মৃত্যু আমাদের কাঁদায়। আমাদেরকে ভাবায়। এইচ এম আশরাফ আহমদ এর মৃত্যুও তেমনি দীর্ঘদিন আমাদের হৃদয়ে-আমাদের মনোজগতে ঘুরপাক খাবে। কাঁদাবে।
এইচ এম আশরাফ আহমেদ মানুষকে কাছে টানার, আপন ভাবার এক অভাবনীয় গুণ নিয়ে জন্মেছিলেন। প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ আব্দুর রহমান এর ভাগিনা হিসেবে বার্মিংহামের সকল মুরব্বীদের ভাগিনা ছিলেন তিনি। তিনি যে কোন একটি সূত্র বের করে সবাইকেই ভাই-মামা-চাচা বলে সম্বোধন করতেন। এই সম্বোধন কোন স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয় মানুষকে কাছে টানার জন্য।
বেঁচে থাকলে মানুষের সম্পর্কে টানাপোড়নের ভয় থাকে। টানাপোড়ন তৈরি হয়। কিন্তু মৃত্যু টানাপোড়নের সেই ভয় ছিন্ন করে মানুষের সাথে সম্পর্কের-ভালবাসার স্থায়ীত্ব তৈরি করে। তাই আশরাফ ভাইয়ের মৃত্যুতে আমি কাঁদছি না বরং সম্পর্কের টানাপোড়ন তৈরি না হওয়ার ভয় থেকে মুক্ত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছি। কারণ মৃত্যু তো ঠেকানো যায় না। কবি দিলওয়ার হোসেন মঞ্জুর ভাষায় বলি- ‘মৃত্যুর অবিধা খুঁজে, আমি না আল্লার কাছে যাই…।’ মৃত্যুর বিকল্প নেই। মৃত্যুর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে যাই।

[১] [২] [৩]