প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ‘গৃহবন্দি’ প্রশ্নকর্তা!

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ৫৩৫টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রশ্নপত্র চূড়ান্তকারী কর্মকর্তাকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আটকে রাখা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, চূড়ান্ত প্রশ্নপত্রকারী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বাইরের। তাই এবার যাতে কোনো ধরনের বিতর্ক না ওঠে এজন্য সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মোবাইলফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসমুক্ত একটি নির্দিষ্ট কক্ষে তাকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।

 

এছাড়া প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে প্রথমবারের মতো বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে তাদের প্রিন্টিং প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। প্রতি জেলায় একটি করে মোট ১৮ সেট প্রশ্ন প্রণয়ন করার পর সেখান থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে একজন কর্মকর্তাকে প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো এবার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় বিদ্যোৎসাহী সদস্যের নামে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বোর্ডে রাখা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভগ দিয়ে প্রথম ধাপে ১৮টি জেলায় একযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত চলছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের ৮টি, বরিশাল বিভাগের ৬টি ও সিলেট বিভাগের ৪টি জেলা রয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তিন বিভাগের ৫৩৫টি কেন্দ্রেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

 

[১] [২] [৩]