সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকেন রবিজুল, গড়েছেন সুখের সংসার

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ

মায়ের মানত পূরণে ৭ বিয়ে করে সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রবিজুল ইসলাম (৩৯)। প্রবাসী অবস্থায় ১৯৯৯ সালে লিবিয়াতে থাকতে প্রথম বিয়ে করেন তিনি। এরপর একে একে আরও ছয় নারীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এক ছাদের নিচে থাকলেও স্ত্রীদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রায় ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলেন রবিজুল ইসলাম। এরপর দুই বছর আগে দেশে আসেন তিনি। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মন্ডলের ছেলে। আর তার স্ত্রীরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বলপুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।

জানা গেছে, রবিজুল ইসলাম সবগুলো বিয়েই করেছেন পারিবারিকভাবে। তিনি ১৯৯৯ সালে প্রথম রুবিনাকে বিয়ে করেন। রুবিনা তার বড় বউ, দুই ছেলের মা তিনি। এরপর ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন, এক ছেলে ও এক মেয়ের মা তিনি। ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। এক মেয়ের মা তিনি। ২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে, তাকে বিয়ের চার মাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেন রবিজুল।

স্থানীয়রা বলেন, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করে। এলাকার মানুষ তাদের সংসার দেখতে আসে। খুব ভালো আছে তারা।

রবিজুলের স্ত্রীরা বলেন, তারা সাত বোনের মতো মিলেমিশে সংসারের কাজ করেন। হিংসা নেই, সবার সঙ্গেই সবার ভালো সম্পর্ক। রবিজুলকে তারা জেনে-শুনেই বিয়ে করেছেন। এভাবেই তারা সংসার চালিয়ে যেতে চান।

এ বিষয়ে রবিজুল ইসলাম বলেন, ‌আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য আমার মা মানত করেছিলেন যে, ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দিবেন। মায়ের সেই মানত পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি।

তিনি বলেন, সাতটি বউ-ই খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। তারা সারাদিন একসঙ্গে কাজ করেন। সপ্তাহের সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। গত দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি এখন ড্রাইভিং শেখাই।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...