ভূমধ্যসাগরে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ইরানের

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:১৮ অপরাহ্ণ

লোহিত সাগরে ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির হামলায় ইসরায়েল নৌ চলাচল বন্ধ হওয়ার দশা। আর সে কারণে কয়েকটি দেশ মিলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এমন কাণ্ডে ক্ষেপেছে ইরান। এবার ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক শীর্ষ কমান্ডার ভূমধ্যসাগরে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবে কীভাবে ভূমধ্যসাগরে নৌ চলাচল বন্ধ করা হয়ে সে বিষয়ে বিস্তারিক কিছু জানানো হয়নি।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদি বলেছেন, ‌‘শিগগিরই ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী এবং অন্যান্য জলপথ বন্ধ করে দেয়া হবে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে ইরানের সরাসরি প্রবেশাধিকার নেয়। তবে ওই অঞ্চলে ইরান সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ আধিপত্য রয়েছে। অন্যদিকে জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে সমুদ্রের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সিরিয়ার মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর প্রতিও ইরানের সমর্থন রয়েছে।

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধে লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এরফলে ইতোমধ্যেই অধিকাংশ বাণিজ্যিক জাহাজ সংস্থা লোহিত সাগরের রাস্তা এড়িয়ে অন্য পথ বেছে নিয়েছে।

এর আগে হুতিদের আক্রমণ থেকে লোহিত সাগরকে নিরাপদ রাখতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডাসহ ১০টি দেশ নিয়ে সামুদ্রিক জোট গঠন করেছ যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে আরও ১০ টি দেশসহ মোট ২০ টি দেশের এ জোট হুতির আক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

ইতোমধ্যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের দুটি যুদ্ধ জাহাজ টহল শুরু করেছে। তবে হুতি গোষ্ঠী জানিয়েছে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না হলে তাদের এ আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।

এর আগে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনায় ইরান ‘সরাসরি জড়িত’।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গাজার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠী উপত্যকায় ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...