সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
নববর্ষের রাতে উড়ানো ফানুসে গত বছর চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল মেট্রোরেল। এবার আগেভাগেই পুলিশের নির্দেশনা ছিল, মেট্রোরেলে এক কিলোমিটারের ভেতর ফানুষ উড়ানো যাবে না। তাতে কি আর থামে, নববর্ষ উদযাপনে মানুষের ফানুস উড়ানোর আনন্দ। এবার বর্ষবরণের রাতে প্রায় ৪০টির মতো ফানুস মেট্রোরেলের লাইনে আটকে যায় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে রাতেই এগুলো অপসারণ করায় গতবারের মতো মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করতে হয়নি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মেট্রোরেলের বিভিন্ন অংশে চলাচলের বিদ্যুতিক তারে আটকা পড়ে উড়ে আসা ফানুস। তবে সকালে যাতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কর্মীরা রাত ৩টা থেকে মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে আটকে থাকা ফানুস সরিয়ে ফেলেন। ফলে গতবারের মতো এবার আর নববর্ষের দিনে চলাচল বন্ধ হয়নি মেট্রোরেলের।
বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারের সঙ্গে ট্রেনের সংযোগের মাধ্যমে গণপরিবহনটিতে বিদ্যুৎ পরিবহন হয়। এই ব্যবস্থায় ফানুস, ঘুড়ি, কাপড় কিংবা এ জাতীয় বস্তু আটকে গেলে বিদ্যুৎ পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়, যা থেকে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন বলেন, গতবছর মেট্রোরেলে ফানুস আটকানোটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। ওই সময় বৈদ্যুতিক তারে ফানুস আটকে যাওয়ায় মেট্রোরেল চলাচলও বিঘ্নিত হয়েছিল। তাই এ বছর আমরা আগের থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। রাতেই কর্মী নিয়োগ ছিল। তারা বিভিন্ন স্টেশন ও লাইন ঘুরে ঘুরে মেট্রোরেলের তারে আটকে থাকা ফানুস অপসারণ করেছে। আমার কাছে আসা তথ্য মতে প্রায় ৪০টি ফানুস অপসারণ করা হয়েছে। যা গত রাতে মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্থানে আটকে ছিল।রাতের মধ্যেই সব ফানুস অপসারণ করায় সকালে মেট্রোরেল চলাচলে কোনও বিলম্ব বা বিঘ্ন ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
২০২৩ সালে মেট্রোরেলে ফানুস আটকে দিনের শুরুতে দুই ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। তখন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ফানুস মেট্রোরেলের জন্য বিপদজনক। ফানুসে উড়ে আসা আগুন মেট্রোরেলের লাইনের তারে বড় ধরেনের ক্ষতি করতে পারে।
এদিকে বছরের শেষ দিনে মেট্রোরেলের চালু হতে বাকী থাকা কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ স্টেশন দুই চালু করা হয়। প্রথম দিন থেকেই সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর দিন দিন নগরের এই নতুন ও আধূনিক পরিবহনের সঙ্গে নিজের যাতায়াতকে সংযুক্ত করছে রাজধানীবাসী। এমতাবস্থায় কোনো কারণে মেট্রোরেল বন্ধ থাকলে ভোগান্তিতে পড়বে মানুষে বলেও জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03