প্রথমবার সংসদে যাচ্ছেন যারা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১০০ নতুন মুখ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এদের ভেতর বেশিরভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) তারা শপথ গ্রহণ করবেন।

এবারের নির্বাচনে নতুনদের জয়ের সবচেয়ে আলোচিত ময়মনসিংহ। এই জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিজয়ী ৯ জনই নতুন। অন্যদিকে ঢাকায় ৯ জন, চট্টগ্রামে ৭ জন, কুমিল্লায় নতুন সংসদ সদস্য হয়েছেন ৬ জন। এই ৩১টি আসন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে দেখা মিলেছে অনেক নতুন মুখের। যাদের বেশিরভাগই বয়সেও তরুণ।

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েই চমক দেখিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জিতেছেন তিনি। ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৯ ভোটারের মধ্যে তাকে ভোট দিয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮ জন। যার শুরুটা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী মো. শাহজাহান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২২ হাজার ২৫৭ ভোট।

ঢাকা-৪ আসনে নৌকার সানজিদা খানমকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়েছেন আওলাদ হোসেন। এছাড়া এবারই প্রথম এমপি হয়েছেন ঢাকা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা-১৯ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা-৬ এর সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ এর সোলাইমান সেলিম, ঢাকা-১১ এর মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৪ এর মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৮ এর খসরু চৌধুরী।

চট্টগ্রামে জয়ী নতুন মুখ :

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে ৭ টিতেই এবার নতুন মুখ সংসদ সদস্য হয়েছেন। চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে এবার প্রথমবারের মত ভোটের লড়াইয়ে নেমে জয়ী হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেল ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রথমবারের মতো দলের মনোনয়ন পেয়ে সরাসরি প্রার্থী হন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এই আসনে ১ লাখ ৬৮৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন সনি। আর তার নিকটতম ফটিকছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে এবারই প্রথমবারের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আল মামুন। তিনি সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। নৌকা প্রতীক নিয়ে এস এম আল মামুন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির দিদারুল কবির লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৮৮০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে জয়ী নগর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালামও সংসদ সদস্য হিসেবে নতুন মুখ।

চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলি-ডবলমুরিং) আসনে জয়ী হয়েছেন গত আগস্টে এই আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার সংসদে যাওয়া মহিউদ্দিন বাচ্চু। দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জে পড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র মনজুর আলম ফুলকপি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট। আরেক আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ পেয়েছেন ২০৩৮ ভোট।

চট্টগ্রাম-১২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়া উপজেলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। পটিয়ায় মোতাহেরুল ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী তিন বারের সংসদ সদস্য সামশুল পান ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে অনেকটা চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে সংসদ সদস্য হবার ভোটে দাঁড়ান। এ আসনে ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মোতালেব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে রাজনীতির মাঠে নিজের প্রথম পরীক্ষায় বাজিমাত সাকিব আল হাসানের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই আসনে ১৫২ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের কাজী রেজাউল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৩ ভোট।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটে ১৯টি আসনের ৯টিতে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেটে ২টি, হবিগঞ্জে ৩টি, মৌলভীবাজারে ২টি এবং সুনামগঞ্জে ২টি আসনে এ পরিবর্তন এসেছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে প্রায় ১ লাখ ভোটে পরাজিত করলেন আলোচিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। হবিগঞ্জ-৪ আসনে ৫ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন ভোটারের মধ্যে ১৭৭টি কেন্দ্রে ভোট দেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে ব্যারিস্টার সুমন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী পেয়েছেন মাত্র ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ঈগল প্রতীকে, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরিফ রুয়েল, হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মো. আবু জাহিরও এই প্রথমবার নির্বাচিত হলেন।

সুনামগঞ্জের দুই আসনে বিজয়ী হয়েছেন নতুন দুই মুখ। বিজয়ীরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার (নৌকা)। এছাড়া সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই-শাল্লা) বিজয়ী হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত (স্বতন্ত্র)।

মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে বিশাল ব্যাবধানে নৌকার প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম নাদেল, মৌলভীবাজার-৩ ( সদর- রাজনগর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী জিল্লুর রহমান। মৌলভীবাজার-৪ ( শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুস শহীদ বিজয়ী হয়েছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ জেলার ৭ টি সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নতুন মুখ এসেছেন। প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া) আসনে মাহমুদুল হক (সায়েম), ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে মোহিত উর রহমান (শান্ত), ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে আবদুল মালেক সরকার, ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে এ বি এম আনিছুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে মাহমুদ হাসান, ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে এম এ ওয়াহেদ।

জামালপুরের ৫ টি সংসদীয় আসনের ৪ টিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ৩ জনই প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশিগঞ্জ) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নূর মোহাম্মদ (নৌকা) পেয়েছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ২৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আবু সায়েম (লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৬ হাজার ৭০ ভোট। বিজয়ী নূর মোহাম্মদ প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট।

জামালপুর-৫ (জামালপুর সদর) প্রথমবারের মতো আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট।

পঞ্চগড়-১ আসনে (সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী) জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান ভূইয়া প্রথমবারের মতো দলের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে নাঈমুজ্জামান ভূইয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২১০ ভোট। নাঈমুজ্জামান ভূইয়া প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি নতুন মুখ হিসেবে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

পিরোজপুর-২ আসনে (ভান্ডারিয়া, কাউখালি, নেছারাবাদ) নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ। তার জয়ের মধ্যদিয়ে ৩৮ বছরের সাম্রাজ্যের ইতি ঘটলো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে তিনবারের এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান বাদশা।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে তিনবারের এমপি প্রভাবশালী এনামুল হককে (স্বতন্ত্র) হারিয়ে প্রথমবার এমপি হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ।

এছাড়া রাজশাহী-৩ আসনে প্রথমবার মনোনয়ন পেয়ে দেড় লাখ ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান আসাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির আবদুস সালাম খান (লাঙ্গল)।

বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এর মাধ্যমে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
আসনটিতে ১৪৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকার প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ পেয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র পার্থী এম আর জামিল হোসাইন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৬ ভোট।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...