লাইভে এসে বিজয়ীদের যা বললেন মাহি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় ঝড় তুললেও ট্রাক প্রতীকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯ ভোট। ফলে জামানতও হারাতে হয়েছে তাকে। তবে রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে বিজয়ী হয়েছেন মাহির প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বর্তমান এমপি নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী।

এর আগে নির্বাচনে হারলেও ভোটের পর দিন শোডাউন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের পর অনেকটা আড়ালেই চলে যান তিনি। সাংবাদিকদেরও ফোন রিসিভ করছিলেন না। তবে এসব ঘটনার দু’দিন পর ভোট নিয়ে মুখ খুলেছেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা। সোমবার রাতে ফেসবুক থেকে লাইভে এসে বিস্তরিত কথা বলেন মাহি।

 

তিনি বলেন, সবাই নিশ্চয় ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। কিছুটা তো মন খারাপ হবেই। কারণ আমি হেরে গেছি গেমে; নির্বাচন একটা গেম। মন খারাপ কিছুটা, কিন্তু সেরকম কিছু না।

এ নায়িকা জানান, প্রতিটি সিচ্যুয়েশনেই আগে নেগেটিভ বিষয়টি মাথায় রাখেন যে, নেগেটিভ হতে পারে। প্রতিটি সিচুয়েশনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তার ইসতেহারে বলা কথা যেমন নারীদের ঘর হবে একেকটা কর্মসংস্থান ও তরুণরা হবেন উদ্যোক্তা। এসব ঠিক কতটা বড় পরিসরে তিনি করতে পারবেন, সেটা সরকারিভাবে যতটা সম্ভব তা ব্যক্তিগতভাবে একটু চ্যালেঞ্জিং। এর পরও ব্যক্তিগত উদ্যোগে যথেষ্ট চেষ্টা করবেন তিনি।

মাহি বলেন, এই তানোর-গোদাগাড়ীর রাস্তা-ঘাটের যে বেহাল অবস্থা, সারাদেশের রাস্তা যে উন্নত সেখানে আমার তানোর-গোদাগাড়ীতে এখনো গরুর গাড়ি চলার মতো অবস্থা। বৃষ্টি ও বর্ষার সময় হাঁটু কাঁদা হয়ে যায়। সেই রাস্তাঘাট এবং বরেন্দ্রভূমির যে পানির সমস্যা, এই দুটো বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন। যিনি নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়েছেন, গত ১৫ বছরে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি, সেসব এই পাঁচ বছরে যেন তিনি করেন।

এ সময় আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী এবং নির্বাচিত প্রার্থীর সমালোচনা করেন অভিনেত্রী। বলেন, গত ১৫ বছরে তার যে জনপ্রিয়তা কমে এসেছিল, তা যেন এই পাঁচ বছরে কাটিয়ে উঠেন তিনি। আমি কিন্তু মাঠে আছি। তা না হলে আগামী পাঁচ বছর পর ফের নির্বাচনি মাঠে দেখা হবে। তার তো জনপ্রিয়তা শূন্য। যতটা ভোট পেয়েছেন সেটা নৌকার জন্য। তো আপনাদের এত খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এছাড়া সমর্থকদের ব্যাপারে ‘অগ্নি’ খ্যাত নায়িকা বলেন, আমার জন্য মাঠে যারা কাজ করেছে, আগামী পাঁচ বছরে আমার জন্য যারা কাজ করবে সেসব কর্মী-সমর্থকদের আপনারা (ক্ষমতাবান) যদি কোনোরকম ডিস্টার্ব করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আমি কিন্তু দুর্বল না। আমি মানসিকভাবে যতটা শক্তিশালী, কর্মীদের ন্যূনতম অপমানেও আমি সর্বোচ্চ লড়াই করব। যে কর্মীরা আমার জন্য কাজ করেছে, তাদের জন্য দরকার হলে আমি জানও দিতে পারি।

মাহি আরও বলেন, পাঁচ বছরে আপনারা (নির্বাচিত প্রার্থী) এমন এমন কাজ করবেন, যাতে মানুষের হৃদয়ে আপনাদের জায়গা হয়। যিনি নতুন সংসদ সদস্য হয়েছেন, তার প্রতি আমার পরামর্শ। আপনারা মানুষের উপকারের জন্য যে সুপ্রিম পাওয়ার পেয়েছেন পাঁচ বছরের জন্য, সেটা কাজে লাগাবেন।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...