অবশেষে না ফেরার দেশে বাবু রণদা প্রসাদ রায় চৌধুরী

অবশেষে না ফেরার দেশে দিরাই থানার বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, ভাটির বাংলার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ , দিরাই থানা আওয়ামীলীগের দীর্ঘকালীন দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি, দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়নের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাবু রণদা প্রসাদ রায় চৌধুরী । উনার ছেলে কানাডা প্রবাসী আশুতোষ রায় চৌধুরীর ফেইস স্ট্যাটাসের মাধ্যমে গতকাল বুধবার রাতে  দুঃখজনক খবরটি জানতে পারি। প্রায় সপ্তাহে দুইএক আগে আমাকে তার বাবার অসুস্থতার খবরটি জানিয়েছিলেন। যা নিয়ে আমি ফেইস বুকে একটি স্ট্যাটাস ও দিয়েছিলাম।

উনার মৃত্যু সংবাটি জানার পর থেকে বার মনে উকি দেয় পুরানো দিনের অনেক রাজনৈতিক স্মৃতি। ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারনে তার খুব কাছাকাছি ছিলাম বিশেষ করে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং ৮৬ সালের নির্বাচনের পুরোটা সময় । রণদা প্রসাদ রায় চৌধুরী জীবনের সিংহ ভাগ সময় মানুষের সামগ্রিক কল্যাণে বিশেষ করে গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে ব্যয় করেছেন । পচাত্তরের পর দুই দফায় দীর্ঘ কারাবরণ করেছেন এবং কারাগারে বন্দী থাকা কালীন অবস্থায় ১৯৮৯ সালে তিনি ৫নং সরমঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। পর পর দুইবার তিনি সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উঁচ্চ শিক্ষিত জমিদার বাবার সন্তান সাদা মনের এই মানুষটি জীবনের সব লোভ লালসা ত্যাগ করে সাধারন মানুষের কল্যানে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সর্ব  শক্তি নিয়োগ করেন। তার এই ত্যাগ এবং সামাজিক অবদানের জন্যে এলাকার মানুষ তাকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করে এবং তিনি যুগ যুগ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিন পুত্র সন্তান ও তিন কন্যা সন্তানের জনক। দুই ছেলে কানাডা প্রবাসী অন্যরা বাংলাদেশ এবং ভারতে বসবাস করছেন। তিনি বেশ ক’বছর যাবৎ স্বপরিবারে কানাডায় ছেলের কাছে পাড়ি জমান। মৃত্যু কালে তার বয়ষ হয়েছিল প্রায় ৯০ বছর। শেষ কৃত্য কানাডার টরন্টোয় হচ্ছে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে ।  তিনি প্রায় বিশ বছর দিরাই থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। যে কেউ স্বীকার করবেন দিরাই শাল্লার রাজনীতিতে আজ এরকম একজন নিঃস্বার্থ, ত্যাগী রণদা প্রসাদ রায় চৌধুরীর কতো বড় শূণ্যতা । সবশেষে আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

[১] [২] [৩]