একাত্তরের ঘাতক নির্মূল কমিটির ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে লন্ডনে আলোচনা সভা

জেসমিন মনসুর,

  • প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম প্রতিষ্ঠিত একাত্তরের ঘাতক নির্মূল কমিটির ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, এই সংগঠনটি গঠন করে বিরূপ ও বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের বেদনা ও গৌরবের বাস্তবতা পুনরায় দৃশ্যমান করে তুলেছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও তাঁর আন্দোলন সহকর্মীরা।
গত ১৮ ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার নবগঠিত নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই ভার্চুয়াল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশা। সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন নির্মূল কমিটির ইউরোপীয়ান সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় সদস্য আনসার আহমেদ উল্লাহ, যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সহ সভাপতি নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, স্মৃতি আজাদ, জামাল আহমেদ খান, নাজমা হোসেন, সংগঠনের ওয়েলসের সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর, ইউকের কোষাধ্যক্ষ এনামুল হক, সহ সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রাজ, শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত দাশ ও সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জোসনা পারভিন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত নির্মূল কমিটির গণ-আদালতের কর্মধারায় আইনি বিধিবদ্ধতা অনুসরণ করে অভিযোগপত্র তৈরি এবং সমাজের বিশিষ্টজনের সমন্বয়ে গঠিত আদালতে প্রকাশ্যে রায় ঘোষণা ৭১ এর গণহত্যার জন্য দায়ী অপরাধীদের চিহ্নিত করে দেয় সবার কাছে। সমাজে উন্মোচিত হয় তাদের অপরাধ, তারা সদম্ভে রাষ্ট্রপরিসরে বিচরণ করলেও মানুষের কাছ থেকে কলঙ্করেখা আর কখনোই লুকাতে পারেনি।
তারা বলেন, ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গণ আদালত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, সেই আন্দোলনের মাধ্যমে সঞ্চিত সাহস নিয়েই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করতে পেরেছিলেন। এই বিচার শুধু শুরুই নয়, বিচারের রায় শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ড একে একে কার্যকরের মাধ্যমে নির্মূল কমিটির দীর্ঘ ৩২ বছরের আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্থেও নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত নির্মূল কমিটির আন্দোলন চলবে, এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বলিয়ান ৩০ লক্ষ বাঙালির বুকের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরকারী দল-বিরোধী দল থাকবে, কিন্তু কোন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সাম্প্রদায়িক দল থাকবে না, এমন অঙ্গীকারই হোক নির্মূল কমিটির ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমাদের শপথ।
সভার দ্বিতীয় পর্বে সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার নবগঠিত কমিটির পূর্নাঙ্গ রূপ দেয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং কতিপয় শূন্যপদ পুরন করা হয়।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...