সব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
মিয়ানমারে স্নাইপারের গুলিতে আয়ে মিন নাউং নামে এক এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের থিনগানিনাউং শহরে হেলিকপ্টারটি অবতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হেলিকপ্টারে থাকা অপর দুই সদস্য অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন নাউং, তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং দুই পাইলটকে এক স্নাইপার গুলি করে হত্যা করেছে।”
সে সময় হেলিকপ্টারটি থাই সীমান্তের মায়াওয়াদ্দির কাছে পূর্ব থিঙ্গানিনাং শহরে অবতরণের অপেক্ষায় ছিল।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সামরিক সূত্র জানিয়েছে, “ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পরে মারা যান। হেলিকপ্টারে থাকা আরো দুজন সেনা বেঁচে গেছেন। এ বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। কতজন স্নাইপার হেলিকপ্টারে গুলি করেছেন বা এর পেছনে কারা দায়ী তা-ও বলেননি।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় গণমাধ্যম ঘটনার পরের অবস্থা দেখানোর জন্য ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, একটি ছোট হেলিকপ্টার মাঠে কাত হয়ে পড়ে আছে। একটি স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি একটি দুই ইঞ্জিনের ইউরোকপ্টার ৩৬৫।
এর আগে গত নভেম্বরে চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের মোনেকোয়ে শহরে ড্রোন থেকে ছোড়া বোমার আঘাতে অপর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিহত হন।
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে থিনগানিনাউং শহরের নিকটবর্তী দেশটির মিয়াওয়াদ্দি শহর ঘিরে নিয়মিত জান্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে।
শুধু দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিয়াওয়াদ্দি শহরই নয়, মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। অনেক অঞ্চলই জান্তার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিদ্রোহীরা। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে আজ কোনো ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিহতের ঘটনা ঘটলো।
২০২১ সালে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তা বাহিনী। এর পর থেকে ভিন্নমতের ওপর তারা শুরু করে ব্যাপক দমন-পীড়ন। এসবের জেরে জান্তার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠীর তৎপরতায় বর্তমানে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে জান্তা সরকার।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03