পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমাবেশের কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘচটনায় নিহতের সংখ্যা রেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতদের মধ্যে চারজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও দুজন বেসামরিক নাগরিক আছেন। বাকীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সদস্য। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। খবর রয়টার্সের।

আইএসপিআর জানায়, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে আত্মঘাতী বোমা ছাড়াও বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের মাচ এবং কোলপুর কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। এতে তিনজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীসহ অন্তত ৯ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

তারা আরও জানিয়েছে, নিকটস্থ নিরাপত্তাবাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে খবর দেয়া হয়েছে। তারা অভিযান চালাচ্ছেন।

বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে । দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে তারা বেশ সক্রিয়।

এ গোষ্ঠীটির লক্ষ্য পার্বত্য ও খনিজ সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান প্রদেশের স্বাধীনতা। ভূখণ্ডের দিক থেকে বেলুচিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ; কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট। প্রদেশটিতে বেশ কয়েক দশক ধরেই বিদ্রোহ চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পাকিস্তানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমাবেশের কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় বিচ্ছিন্নবাদীরা। এতে তাৎক্ষণিক চারজনের ‍মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটায় পুলিশ জানিয়েছে, কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের পক্ষে সমর্থকরা সমাবেশ করার সময় একটি মোটরবাইকে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়।

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ফারহান জাহিদ এএফপিকে বলেছেন, ‘পিটিআইয়ের সমাবেশটি সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। তবে সমাবেশটি (বোমার) লক্ষ্য ছিল কি না তা স্পষ্ট নয়। ’

বিস্ফোরণে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলুচিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র ওয়াসিম বেগ। তিনি বলেছেন, নিহত চারজন ছাড়াও ছয়জন আহত হয়েছে।

এছাড়া পিটিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, সমাবেশে নিহতদের মধ্যে তাদের তিন কর্মী ছিলেন। ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানাতে মোটরবাইক ও গাড়ির বহর নিয়ে তারা শহরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। দলের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে কি না তা বলার সময় এখনো হয়নি।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করছে।

এই হামলার কিছুক্ষণ আগেই ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় তাঁকে এ সাজা দেয়া হয়েছে। পিটিআই নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও একই মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

[১] [২] [৩]