বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে যা জানালো যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’

রোববার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতে এমন বার্তা দেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে নির্ধারিতভাবে কিছু হয়নি। শুধুই একটা স্ট্যেটমেন্ট, তিনি যেটা বলেছেন যে আমরা মনে করি বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হয়নি, তার পরেও আমরা চাই আমাদের সম্পর্ক যেন এগিয়ে যায়।’

এখন তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কের টানাপোড়েন নেই, এটাই কী বুঝাতে চাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘না, আমি যদি আমার মন্ত্রণালয়ের প্রোক্ষাপটে বলি, না আমাদের কোনোকিছু নেই। বরং এটাকে আরও কীভাবে সুদৃঢ় করব, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

পিটার হাসের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন কিনা প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান তাদের জানিয়েছি। সো উই ক্যান এগ্রি টু ডিজ এগ্রি। সেটা অনেক সময় হতে পারে, অনেক বিষয়ে। তবে সেটা এমন কিছু না যা আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করবে বা কোনোভাবে এটাকে দুর্বল করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি যেটা বুঝেছি সেটা হলো তারা এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চায়। আমাদের যে পারস্পরিক সম্পর্ক আছে, এটাকে আরো কীভাবে ঘনিষ্ঠ করা যায়, আমরা এটাকে কীভাবে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং তারা মনে করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ এ দুটো শুধু বাংলাদেশের ইস্যু নয় না, এটার গুরুত্ব সারা বিশ্বব্যাপী। সুতরাং তাদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপাকি সম্পর্ক আছে, সেখানে আমরা এই দুটো ইস্যুকে কেন্দ্র করে আরও কীভাবে গভীর করতে পারি, মূলত এটাই আলোচনা হয়েছে।’

পিটার হাস এবং পরিবেশমন্ত্রী উভয়েই গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের সমতা বাড়াতে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

পিটার হাস বলেন, ‘কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ অন্যান্য বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা এর জলবায়ু ল্যগুলিকে সমর্থন করার জন্য আমাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের আলোচনা সহযোগিতার জন্য উল্লেখযোগ্য সুযোগগুলোকে তুলে ধরেছে এবং আমরা আমাদের উভয় দেশের জন্য আরও জলবায়ু-সহনশীল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’

[১] [২] [৩]