অণ্ডকোষ চেপে যুবককে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

রাজধানীর সার্ক ফোয়ারা সংলগ্ন বোরাক টাওয়ারের সামনে এক মাইক্রোবাস চালকের সঙ্গে হাতাহাতিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মাইক্রোবাস চালক যুবকের অণ্ডকোষ চেপে ধরে এবং বাম হাতের কব্জিতে কামড় দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারায় যুবক। পরে তাকে শহীদ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম হাফিজুল ইসলাম রাজু (৩০)। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায়। ঢাকায় থাকেন তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ায়। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ফ্রিল্যান্ড শপে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

হাফিজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা হারুনুর রশীদ বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় চালককে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১টার দিকে সহকর্মী মাহমুদুল হাসান শাওনকে সঙ্গে নিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে কারওয়ান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন হাফিজুল। বোরাক টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে। তখন হাফিজুল ও তার কলিগ প্রাণ বাঁচানোর জন্য গাড়ির সামনে থেকে কিছুটা সরে যায়। মাইক্রোবাস চালককে বেপরোয়া চালানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে হাফিজুল ও তার সহকর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাফিজুলের অণ্ডকোষ চেপে ধরে এবং বাম হাতের কব্জিতে কামড় দেয় মাইক্রোবাস চালক মুনসুর। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারায় হাফিজুল। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মুনসুর। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ ও উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়।

পরে পুলিশের একটি টহল টিম এসে মুনসুরকে গ্রেপ্তার করে ও হাফিজুলকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করে। হাফিজুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

[১] [২] [৩]